শক্তিপ্রদর্শনের অংশ হিসেবে তাইওয়ানের আকাশসীমায় আরো যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে চীন। স্বশাসিত এই দ্বীপ ভূখণ্ড নিজেদের দাবি করে বেইজিং চারদিকে শক্তি বাড়ালেও তাইওয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বুধবার লড়াইয়ের হুঙ্কার দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, চীন হামলা চালালে শেষ পর্যন্ত লড়াই করবে তাইওয়ান।
গত কয়েক মাস ধরে স্বশাসিত গণতান্ত্রিক দ্বীপ ভূখণ্ডের চারপাশে বেইজিং সামরিক কার্যক্রম বৃদ্ধি করেছে বলে তাইওয়ান অভিযোগ করছে। তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা শনাক্তকরণ অঞ্চলে প্রায় প্রত্যেকদিনই চীনের বিমান বাহিনীর অনুপ্রবেশ ধরা পড়ছে। সোমবার চীন বলছে, এই দ্বীপের কাছ ঘেঁষে বেইজিংয়ের একটি যুদ্ধবিমানবাহিনী রণতরী মহড়া চালাচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, চীনের ১২টি যুদ্ধবিমান-সহ অন্তত ১৫টি বিমান তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা শনাক্তকরণ অঞ্চলে ঢুকে পড়েছে। এছাড়া তাইওয়ান এবং ফিলিপাইনের মাঝের বাশি চ্যানেলের দক্ষিণ দিকে সাবমেরিন-বিধ্বংসী একটি বিমান উড়েছে।
মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তাইওয়ানের মন্ত্রী বলেন, এই অঞ্চলের চলমান পরিস্থিতি দেখে মার্কিন সিদ্ধান্তগ্রহণকারীদের ব্যাপারে আমার সীমিত বোঝাপড়া বলছে, তাইওয়ানের বিরুদ্ধে চীনের হামলার সম্ভাব্য ঝুঁকি স্পষ্টভাবে দেখতে পাচ্ছেন তারা (যুক্তরাষ্ট্র)।
‘প্রশ্নাতীতভাবেই আমরা নিজেদের রক্ষায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আমরা যুদ্ধে লড়বো; যদি লড়াইয়ের দরকার হয়। যদি একেবারে শেষ দিন পর্যন্ত আমাদের নিজেদের রক্ষা করতে হয়, তাহলে আমরা সেদিন পর্যন্তও লড়াই করবো।’
মন্ত্রী জোসেফের মন্তব্যের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে চীনের তাইওয়ান কল্যাণবিষয়ক কার্যালয় ও মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর কোনো সাড়া দেয়নি। চীনের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য তাইওয়ানের চারপাশে এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বেইজিং।
তবে চীনের এমন পদক্ষেপে উদ্বেগ প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তাইওয়ানের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকার একেবারে নিরেট। তাইওয়ানের কাছে চীনের সামরিক পদক্ষেপ বৃদ্ধির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী বলছে, বুধবার তাইওয়ান প্রণালীতে ক্ষেপণাস্ত্রবিধ্বংসী যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস জন সেন্ট ম্যাককেইন নিয়মিত ট্রানজিট পরিচালনা করেছে।
সূত্র: রয়টার্স।