spot_img

মিয়ানমারে মুক্তি মিলল অস্ট্রেলিয়ান দম্পতির

অবশ্যই পরুন

গত মাসের শেষদিকে আটক হওয়া দুই অস্ট্রেলিয়ান নাগরিককে মুক্তি দিয়েছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকার কর্তৃপক্ষ। কোনো মামলা ছাড়াই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটি ত্যাগ করার অনুমতি মিলেছে তাদের। এএফপির প্রতিবেদনে এই খবর জানানো হয়েছে।

সোমবার অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তাদের মুক্তি খবরকে স্বাগতম জানিয়ে বলেন, অস্ট্রেলিয়ান কর্মকর্তারা তাদের এই আটক ও মুক্তি দেওয়ার সময়ে ওই দম্পতিকে ‘কনস্যুলার সহায়তা প্রদান করেছিলেন।’

অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া ওই বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে যে, গতকাল রোববার মুক্তি পাওয়ার পর মিয়ানমারের সর্ববৃহৎ শহর ইয়াঙ্গুন ছেড়েছেন ম্যাথিউ ও’কান এবং ক্রিস্টা অ্যাভেরি দম্পতি।

মিয়ানমারে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত ব্যবসা পরিচালনা করতেন ওই দম্পতি। গত মার্চে এক রিলিফ ফ্লাইটে দেশের ফেরার চেষ্টা করার সময় মিয়ানমারের জান্তা কর্তৃপক্ষ তাদের আটক করে গৃহবন্দি করে রেখেছিল।

ক্রিস্টা অ্যাভেরি বলেছেন, ‘আমি অবশ্যই মুক্তি পেয়েছি এবং স্বামী ম্যাটের সঙ্গে বাড়ি যাব বলে অবিশ্বাস্যরকম স্বস্তি লাগছে। যদিও আমি জানতাম যে আমি অর্থাৎ আমরা কোনো ভুল করিনি। তারপরও আমাদের আটক করা হয়েছে। দুই সপ্তাহের জন্য গৃহবন্দী হয়ে থাকাটা অত্যন্ত চাপের বিষয় ছিল আমাদের কাছে।’

তবে এখনো মুক্তি পাননি অস্ট্রেলিয়ান অর্থনীতিবিদ সিন টার্নেল। গত ১ ফেব্রুয়ারির মিয়ানমারের সেনাবাহিনী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের এক সপ্তাহ পর অং সান সু চির উপদেষ্টা টার্নেলকে গ্রেফতরা করা হয়।

অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সু চির গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখলের পর জান্তা কর্তৃপক্ষের হাতে গ্রেফতার হওয়া প্রথম বিদেশি নাগরিক হলেন অর্থনীতিবিদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সিন টার্নেল।

তার বিরুদ্ধে অভিবাসন ও রাষ্ট্রীয় গোপনীয়নতা লঙ্ঘনের মতো গুরুতর অভিযোগের তদন্ত করছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। প্রসঙ্গত, অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারে সু চিসহ আড়াই হাজার মানুষকে আটক করা হয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

আন্তজার্তিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শিবিরের ৭ নেতাকর্মীর অভিযোগ

গুম, পঙ্গু করে দেয়া ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আন্তজার্তিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৭ জন নেতাকর্মী। রোববার...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ