শিরোপা ধরে রাখার মিশনে অনেক আগেই পিছিয়ে পড়েছে জুভেন্তাস। শনিবার রাতে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী তোরিনোর বিপক্ষে হেরে আরও পিছিয়ে যাওয়ার শঙ্কাই তৈরি হয়েছিল দলটির। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর গোলে অন্তত হার থেকে রক্ষা পেয়েছে বিয়েঙ্কোনেরিরা। ড্র করেছে ২-২ গোলে।
গেল ডিসেম্বরে যখন তুরিন ডার্বিতে খেলেছিল জুভেন্তাস, তখন এক গোলে পিছিয়ে পড়েও জয় তুলে নিতে সক্ষম হয়েছিল দলটি। তার শনিবার দলটিকে উল্টোটার শঙ্কাই পেয়ে বসেছিল। ফ্রেদেরিকো কিয়েসার গোলে এগিয়েই গিয়েছিল জুভেন্তাস। সতীর্থ আলভারো মোরাতার পাস থেকে দারুণ দক্ষতায় দু’জনকে কাটান কিয়েসা, এরপর গোলরক্ষকের পায়ের ফাঁক দিয়ে গোল।
তবে বার্সেলোনার একাডেমি ‘লা মাসিয়া’ থেকে উঠে আসা টনি সানাব্রিয়ার গোলে ২৭ মিনিটে সমতা ফেরায় তোরিনো। বিরতির আগে আবারও এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করেছিল জুভেন্তাস। কিন্তু কুয়াদ্রাদোর ক্রসে করা মোরাতার দারুণ হেডার ঠেকিয়ে দেন তোরিনো গোলরক্ষক, হেডে আরেকটা সুযোগ এসেছিল মিনিট দুয়েক পর। কিন্তু সেটি ছিল না লক্ষ্যেই। ফলে ১-১ সমতায় থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে জুভেন্তাস।
বিরতির ঠিক পরেই গোল পায় তোরিনো। কিক অফের ঠিক ২০ সেকেন্ড পরই সানাব্রিয়ার জোরালো শট জড়ায় জুভেন্তাস জালে। এরপর সময় যত গড়াচ্ছিল, জুভেন্তাসের আশাও ফিকে হচ্ছিল ক্রমে। কিয়েসার শট আটকে যায় তোরিনো দেয়ালে, এরপর রোনালদোর হেডারও ফেরান তোরিনো গোলরক্ষক।
এতে করে যখন শিরোপাধারীদের আশা ক্রমেই মিলিয়ে যাচ্ছিল, রোনালদো ত্রাতা হয়ে এলেন তখনই। বা প্রান্ত থেকে আসা ক্রসে মাথা ছোঁয়াতে পারেননি জর্জিও কিয়েলিনি, তবে রোনালদোর চেষ্টা বিফলে যায়নি। শুরুতে বেরসিক লাইন্সম্যান অফসাইডের পতাকা তুলে দিলেও ভিএআর গোল দেয় জুভেন্তাসের পক্ষে। এরপর দুই দলই লড়েছে জয়সূচক গোলের জন্য, তবে কারো ভাগ্যেই শিকে ছেঁড়েনি। ২-২ ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে দুই দল।
এই ড্রয়ের ফলে ২৮ ম্যাচে ১৬ জয় ও আট ড্রয়ে ৫৬ পয়েন্ট অর্জন করেছে জুভেন্তাস, নেমে গেছে পয়েন্ট তালিকার চারে। আটালান্টা এক ম্যাচ বেশি খেলে দুই পয়েন্ট বেশি নিয়ে উঠে গেছে তালিকার তৃতীয় স্থানে। দুই আর এক নম্বর জায়গায় আছে দুই মিলান। রোমেলু লুকাকুর একমাত্র গোলে বোলোনিয়াকে হারিয়ে শীর্ষেই রইল ইন্টার, আর সাম্পদোরিয়ার বিপক্ষে ১-১ ড্র করে মিলান আছে তালিকার দুইয়ে।