spot_img

করোনা সংক্রমণ এভাবে বাড়তে থাকলে হাসপাতালে কোনো জায়গা থাকবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

অবশ্যই পরুন

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘ঢাকা শহরকে হাসপাতাল করে ফেললেও রোগী রাখার জায়গা দেওয়া যাবে না।’

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন ১০টি আইসিইউ বেড উদ্বোধনকালে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ‘করোনা রোগীদের জন্য আরও ২ হাজার ৫০০ বেড যুক্ত করা হবে। কাল বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে নতুন এক হাজার বেড বাড়ানো  হবে। তার মানে, নতুন  করে সাড়ে তিন হাজার বাড়ানো হচ্ছে।’

‘করোনাভাইরাস উৎপত্তির উৎস বন্ধ না করলে শুধুমাত্র সেবা দিয়ে সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। যে হারে রোগী বাড়ছে, তাতে ঢাকা শহরকে হাসপাতালে পরিণত করলেও সকলকে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব না,’ বলেও জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন যদি ৫০০-১০০০ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হতে থাকে, তাহলে গোটা ঢাকা শহরকে হাসপাতাল করে ফেললেও রোগী রাখার জায়গা দেওয়া যাবে না।’

‘এজন্য যা করার, এখনই করতে হবে। এই মুহূর্তে যা করতে হবে তা হচ্ছে, যে যে স্থান থেকে করোনা সৃষ্টি হচ্ছে সেই সকল স্থানে এখনই জরুরি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। সবাইকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ১৮টি নির্দেশনা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে’, যোগ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, ‘করোনা রোগীর সাথে সাথে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা দিতে হচ্ছে, এটা স্বাস্থ্য সেবার ওপর চাপ। আপনারা জানেন, গত এক বছর যাবত আমাদের ডাক্তার ও নার্সেরা ছুটিতে যাচ্ছে না । তারা পরিশ্রান্ত হয়ে গেছে। তাদের কখনো আমরা ছুটি দেইনি।’

‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় করোনা নিয়ন্ত্রণ কাজ যাচ্ছি’ জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যতটুকু সামর্থ্য আছে, তা দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। সবকিছুর একটা সীমা আছে। আজকে আমরা যেভাবে, বেখেয়ালিভাবে চলাফেরা করছি, যদি আমরা এভাবে চলাফেরা করি, তাহলে আগামী দিনগুলোতে আরও বিপর্যয় নেমে আসবে। এখনই সময় পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাওয়ার আগেই নিয়ন্ত্রণে আনার।’

সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মানার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সবাইকে সজাগ হতে হবে। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। সরকারের দেওয়া ১৮টি নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। এটা নিজের জন্য, নিজের পরিবারের জন্য। আমি সুস্থ না থাকলে দেশ সুস্থ থাকবে না। এক বছর করোনা নিয়ে কাজ করছি। আমরা সুন্দরভাবে করোনা নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছি।’

করোনা নিয়ন্ত্রণের সফলতার কারণে দেশের সুনাম এসেছিল জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘তবে আমাদের খুশি কাল হয়েছে! গত চার মাসে করোনা যে হারে না বেড়েছে, গত এক সপ্তাহে তার থেকে বেশি বেড়েছে। করোনার শনাক্তের হার ২ শতাংশে নেমে এসেছিল; গত এক সপ্তাহে ২০ শতাংশের উপরে ছাড়িয়েছে।’

‘করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে মৃত্যু পাঁচের নিচে নেমে এসেছিল, যা এখন ৫০-এর উপরে উঠে আসছে। এক সপ্তাহের সকল হাসপাতালের রোগী বেড়ে গেছে। রোগী বাড়ার কারণ কী- এ বিষয়ে জনগণকে অবহিত হতে হবে। নিজেকে নিজের রক্ষা করতে হবে,’ যোগ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

অনলাইনে বৈঠক যুক্ত হয়ে ঢাকা মেডিকেল  কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক বলেন, ‘ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য নির্ধারিত একটি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে আগুন লাগার পর রোগীদের সরিয়ে নেবার সময় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। ১৪টি আইসিইউ নষ্ট হয় গেছে। দুই সপ্তাহের মধ্যে আমরা আবার ১০টি নতুন আইসিইউ চালু করতে পারেছি। এটা আমাদের জন্য একটা সুসংবাদ।’

সর্বশেষ সংবাদ

আন্তজার্তিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শিবিরের ৭ নেতাকর্মীর অভিযোগ

গুম, পঙ্গু করে দেয়া ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আন্তজার্তিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৭ জন নেতাকর্মী। রোববার...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ