গত বছরের বাজেটে বিদেশি ই-কমার্স সংস্থাগুলির উপরে বাড়তি কর চাপানোর কথা ঘোষণা করেছিল ভারতের মোদি সরকার। যার পোশাকি নাম ডিজিটাল সার্ভিস ট্যাক্স। এ বার সেই সিদ্ধান্তের পাল্টা পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি ক্যাথরিন টাইয়ের দফতর থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত-সহ ছ’টি দেশের পণ্যের উপরে বাড়তি আমদানি শুল্ক চাপানোর চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের মতামতের জন্য ইতিমধ্যেই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে তারা। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, যুক্তরাষ্ট্র সত্যিই শেষ পর্যন্ত এই ধরনের কোনও পদক্ষেপ করলে বিশ্ব বাণিজ্যের সামনে নতুন করে আরও একটি দেয়াল তৈরি হবে। মহামারির পরে বিশ্ব অর্থনীতি যখন ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে, তখন এই হুঁশিয়ারি উদ্বেগের।
গত বছর ভারতের ডিজিটাল পরিষেবা কর প্রস্তাবের পরেই আপত্তি তুলেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এই কর চাপানো হলে মার্কিন সংস্থাগুলি কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, সে সম্পর্কে তদন্ত শুরু করে বাণিজ্য প্রতিনিধির দফতর। তদন্তের শেষে তাদের বক্তব্য, অধিকাংশ ই-কমার্স সংস্থার উপরেই এই করের প্রভাব পড়বে। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, ‘আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে আমরা আগ্রহী। তবে যত দিন তা না হচ্ছে, তত দিন ভারত থেকে আমদানি করা কয়েকটি পণ্যের উপরে বাড়তি শুল্ক চাপাতে হতে পারে।’
সূত্রের খবর, প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী বছরে ৫ কোটি ৫০ লাখ ডলারের কর চাপানোর কথা ভাবনাচিন্তা করছে যুক্তরাষ্ট্র। যা ভারতের চাপানো মোট ডিজিটাল পরিষেবা করের সমান। ভারতের সরকারি সূত্রের খবর, যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ তারা নজরে রেখেছে। প্রয়োজনে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবে তারা।
সূত্র: ব্লুমবার্গ।