দেশে করোনা ভ্যাকসিন দেয়ার ৪০তম দিনে ৭০ হাজার ৪০৭ জন ভ্যাকসিন নিয়েছেন। এরমধ্যে পুরুষ ৪০ হাজার ৬৩ জন ও নারী ৩০ হাজার ৩৪৪ জন ভ্যাকসিন নেন।
পাশাপাশি এ পর্যন্ত করোনার ভ্যাকসিন নিতে অনলাইনে নিবন্ধন করেছেন ৬৫ লাখ ৩৬ হাজার ২৭৩ জন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ্ ইমার্জেন্সী অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের (এমআইএস) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে জানানো হয়, ঢাকা মহানগরীতে ভ্যাকসিন নিয়েছেন ১০ হাজার ৩৭৭ জন। এরমধ্যে পুরুষ ছয় হাজার ৩৩৩ জন ও নারী চার হাজার ৪৪ জন ভ্যাকসিন নেন।
ঢাকা বিভাগে ভ্যাকসিন নিয়েছেন ২০ হাজার ৬৪৯ জন। এরমধ্যে পুরুষ ১২ হাজার ৫০৩ জন ও নারী আট হাজার ১৪৬ জন ভ্যাকসিন নেন। এছাড়াও ময়মনসিংহ বিভাগে পাঁচ হাজার ৫৯৮ জন ভ্যাকসিন নেন; যার মধ্যে পুরুষ দুই হাজার ৭৮৬ ও নারী দুই হাজার ৮১২ জন।
চট্টগ্রাম বিভাগে ১৩ হাজার ৪১৫ জন ভ্যাকসিন নেন; যার মধ্যে পুরষ সাত হাজার ৬৪০ জন ও নারী পাঁচ হাজার ৭৭৫ জন ভ্যাকসিন নেন।
রাজশাহী বিভাগে আট হাজার ৪০৩ জন ভ্যাকসিন নেন; যার মধ্যে পুরুষ চার হাজার ৫৪২ জন ও নারী তিন হাজার ৮৬১ জন।
রংপুর বিভাগে নয় হাজার ৪১৭ জন ভ্যাকসিন নেন; যার মধ্যে পুরুষ পাঁচ হাজার ১০৭ জন ও নারী চার হাজার ৩১০ জন। খুলনা বিভাগে আট হাজার ১৯৮ জন ভ্যাকসিন নেন; যার মধ্যে পুরুষ চার হাজার ৭০৮ ও নারী তিন হাজার ৪৯০ জন।
বরিশাল বিভাগে দুই হাজার ৫৪৫ জন ভ্যাকসিন নেন; যার মধ্যে পুরুষ এক হাজার ৫২০ জন ও নারী এক হাজার ২৫ জন এবং সিলেট বিভাগে দুই হাজার ১৮২ জন ভ্যাকসিন নেন; যার মধ্যে পুরুষ এক হাজার ২৫৭ জন ও নারী ৯২৫ জন।
রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালসহ সারা দেশের এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে কোভিড-১৯ টিকা দেয়া হচ্ছে। টিকাদানের প্রথম দিন মোট ৩১ হাজার ১৬০ জনকে টিকা দেয়া হয় বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছিল।
বর্তমানে বাংলাদেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ৭০ লাখ ডোজ রয়েছে এবং করোনার টিকা নিতে চাইলে www.surokkha.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে নিবন্ধন করতে হবে।
গত ২৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। সেসময় দুই দিনে মোট ৫৬৭ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।
বাংলাদেশে এই ভ্যাকসিন পরীক্ষামূলক প্রয়োগ না হওয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল অনুযায়ী তাদের এক সপ্তাহ পর্যবেক্ষণ করা হয়। কারও মধ্যে গুরুতর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা না দেওয়ায় পরিকল্পনা মত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে গণ ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হয়।