আপাতত কোনো ধরনের লকডাউনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেই, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর জোর দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বুধবার (২৪ মার্চ) সচিবালয়ে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, দেশে করোনা রোগী যে হারে সংক্রামিত হচ্ছে, তা নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে সরকারের প্রস্তুতির কাজ কঠিন হয়ে পড়বে।
এ সময় মন্ত্রী জানান, সারাদেশে নতুন করে প্রায় ৩ হাজার নতুন করোনার বেড বাড়ানো হয়েছে।
মন্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, যারা বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে গেছেন বা সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন তারাই বেশি করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, মহামারি করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এর আগে মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) বিকেলে করোনাভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়- মহামারি করোনাভাইরাসে দেশে মারা যায় ১৮ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৮ হাজার ৭৩৮ জনে। এ ছাড়া নতুন করে ৩ হাজার ৫৫৪ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন, যা গত ৮ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
গত বছরের ২ জুলাইয়ের পর এটিই দেশে একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত। সেদিন আক্রান্ত হিসেবে দেশে শনাক্ত হয়েছিলেন চার হাজার ১৯ জন। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৭৭ হাজার ২৪১ জনে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১০ হাজার ২০৬ জন এবং করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৭৮৬ জন।
এ ছাড়া বিশ্বে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৭ লাখ ৪৫ হাজার এবং আক্রান্ত ১২ কোটি ৪৭ লাখ।
এদিকে সোমবার (২২ মার্চ) রাতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা-১ শাখার উপসচিব ড. বিলকিস বেগম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় রাজধানীর ৫টি সরকারি হাসপাতাল ও প্রতিষ্ঠানকে ফের প্রস্তুত করার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
প্রতিষ্ঠানগুলো হলো-লালকুঠি হাসপাতাল, ঢাকা মহানগর হাসপাতাল, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল ও ডিএনসিসি করোনা আইসোলেশন সেন্টার।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে ক্রমাগত করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য রাজধানীর লালকুঠি হাসপাতাল, ঢাকা মহানগর হাসপাতাল, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল ও ডিএনসিসি করোনা আইসোলেশন সেন্টার ও সরকারি কর্মচারী হাসপাতালকে সার্বিকভাবে প্রস্তুত রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।