সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মনে করেন, মানসিকভাবে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনে যোগ্য নন জো বাইডেন। বাইডেনের মানসিক অবস্থা শিগগিরই এমন জায়গায় দাঁড়াতে পারে যে তিনি কি করছেন, কি বলছেন, কি লিখছেন তা নিজেই বুঝে উঠতে পারবেন না। ট্রাম্পের ধারণা, অচিরেই তার জায়গায় দায়িত্ব নিতে পারেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস।
গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক রক্ষণশীল সংবাদমাধ্যম নিউজম্যাক্সকে এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন ট্রাম্প। নিউইয়র্ক পোস্ট ও ডেইলি মেইল এ খবর জানিয়েছে।
২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাইডেনের কাছে হেরে যান ট্রাম্প। কিন্তু তার দাবি, নির্বাচনে তিনিই জিতেছেন। তাকে কারচুপি ও ষড়যন্ত্র করে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। এজন্য এখন পর্যন্ত এই নির্বাচনের ফল মেনে নেননি ট্রাম্প। আগামী ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। নিজের রাজনীতির অংশ হিসাবে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বাইডেনের ওপর প্রায়ই কথার আক্রমণ চালাচ্ছেন তিনি।
সোমবার নিউজম্যাক্সের সঙ্গে সাক্ষাৎকারেও একইভাবে আক্রমণ শানান। এদিন প্রথমেই এয়ারফোর্স ওয়ানের বিমানের সিঁড়িতে বাইডেনের হোঁচট খাওয়ার বিষয়টি তোলেন ট্রাম্প। বলেন এমনটিই প্রত্যাশা করেছিলেন তিনি। তার ভাষায়, ‘প্রকৃতপক্ষে এটাই প্রত্যাশা করেছিলাম আমি।’
ট্রাম্প বলেন, বাইডেনের এভাবে হোঁচট খাওয়া ভয়ানক। একবার নয় তিন তিনবার। এটা অবিশ্বাস্য। পুরো বিষয়টাই ভয়ানক। মিডিয়ার আর বাকস্বাধীনতা রইল না। ‘পঙ্গু’ মিডিয়াগুলো এ খবর প্রকাশ করেনি।
গত শুক্রবার জর্জিয়ার আটলান্টায় যাত্রার পথে মেরিল্যান্ডের সামরিক বিমানঘাঁটিতে বিমানের সিঁড়ি বেয়ে উঠতে গিয়ে তিনবার হোঁচট খেয়ে পড়ে যান বাইডেন। এ ঘটনায় নানা মত তৈরি হয়। বাইডেনের অসুস্থতা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। শুধু শারীরিক স্বাস্থ্য নয়, এর আগে প্রশ্ন উঠেছে তার মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও।
চলতি মাসের প্রথম দিকে এক প্রতিবেদনে রক্ষণশীল সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজ দাবি করে, বাইডেনের স্মৃতিভ্রম বাড়ছে। ইদানীং সবকিছু ভুলে যাচ্ছেন তিনি। খবরে আরো বলা হয়, মন্ত্রী-এমপি-আমলা ও রাজনীতিকের নাম মনে রাখতে পারছেন না তিনি।
সেইসঙ্গে প্রশ্ন তোলেন, তাহলে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব কি ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস পালন করছেন? এমন প্রশ্নের কারণ হিসাবে মার্কিন সংবাদমাধ্যমটি জানায়, বিশ্বনেতাদের সঙ্গে কথা বলা ও পররাষ্ট্রনীতির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের বেশিরভাগ এখন কমলা হ্যারিসই সামলাচ্ছেন।
প্রথানুসারে যা প্রেসিডেন্টের করার কথা। এদিনের সাক্ষাৎকারে একই অভিযোগ তুললেন ট্রাম্পও। তিনি বলেন, বাইডেনের মানসিক স্বাস্থ্য সম্ভবত খুব দ্রুতই খারাপের দিকে যাচ্ছে। এমনকি নির্বাহী আদেশের যেসব নথিতে তিনি স্বাক্ষর করছেন, সেগুলোও তিনি হয়তো ঠিকমতো পড়তে পারছেন না।
তিনি আরও বলেন, তার বিশ্বাস, সেক্ষেত্রে ডেমোক্র্যাটরা বাইডেনের স্থলে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে দায়িত্ব দিতে পারেন।