নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে প্রেমিককে আটকে রেখে তার বন্ধুকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রেমিকার পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। এ সময় প্রেমিক ওই যুবকের ভাইসহ আরো অন্তত সাতজনকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নের রুদ্রপুর গ্রামের পাঁচবাড়িয়া এলাকার কুলা বেপারীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো: পারভেজ হোসেন (২২) উপজেলার আলাইয়াপুর ইউনিয়নের জুবিখালী গ্রামের কাজাগো বাড়ির আবদুর রহিমের ছেলে। তিনি পেশায় একজন দর্জি ব্যবসায়ী।
আহতরা হলেন জিহাদ (২৮), জাহেদ (২৪), জুয়েল (২৪), নানিক (২৫), রিয়াদ (৩০), ফরহাদ (২৫) ও আজাদ (৩০)। তাদেরকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালসহ স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত পারভেজের বন্ধু সুজন (১৮) সোমবার সন্ধ্যায় তার প্রেমিকার ফোন কল পেয়ে প্রেমিকার বাড়িতে যান। সন্ধ্যার দিকে সুজন প্রেমিকার বাড়িতে গেলে প্রেমিকার বাবা শাহ আলম ও এলাকার লোকজন তাকে আটক করেন। এভাবে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত তাকে আটকে রেখে ১০ লাখ টাকা দাবি করে প্রেমিকার বাবাসহ পরিবারের লোকজন। অন্যথায় তাদের মেয়েকে বিয়ে করতে হবে বলে জানায়। খবর পেয়ে আটক সুজনের ভাই সমাজের লোকদের নিয়ে রাতেই ওই বাড়িতে যান। কিন্তু রাতে তারা সুজনকে ছাড়িয়ে আনতে ব্যর্থ হন।
এরপর মঙ্গবার সকাল ১০টার দিকে সুজনের ভাই ও বন্ধুরা একত্রিত হয়ে পুনরায় ওই বাড়িতে গিয়ে সালিশি বৈঠকে বসেন সমাজের ব্যক্তিদের নিয়ে। বৈঠকে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মেয়ের পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এ সময় আটক সুজনের বন্ধু পারভেজসহ কয়েকজনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।
পরে তাদেরকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে পারভেজের মৃত্যু হয়। ঘটনার পর সুজনের প্রেমিকা স্বপ্না আক্তার, তার বাবা শাহ আলম ও ভাইসহ পরিবারের সবাই পালিয়ে গেছে।
বেগমগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ কারুজ্জামান সিকদার জানান, আটক যুবককে ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত পারভেজের লাশ নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে রয়েছে। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।