খুলনায় এমভি আদিবা খান লঞ্চের লস্কর আইয়ুব আলী (৪০) হত্যা মামলায় এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) খুলনা সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মশিউর রহমান চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে জেলহাজতে পাঠানো
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী পিপি এনামুল হক ও এপিপি এম ইলিয়াস খান।
অপরদিকে এ মামলার অপর আসামি প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়ায় শিশু আদালতে তার বিচারকার্য চলছে। এ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি হলেন- মো. রায়হান সরদার। তিনি যশোরের চাঁচড়া এলাকার মৃত হাকিম সরদারের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর সকাল পৌনে ৬টায় লঞ্চ কয়রা উপজেলার ভান্ডার পোল এলাকায় পৌঁছায়। যাত্রীরা লঞ্চ থেকে নামতে শুরু করলে দুই যাত্রী তাদের টিকিট দেখাতে পারেনি। তারা চালনা থেকে এসেছে বলে জানায়। তখন লঞ্চের লস্কর আইয়ুব আলী বলেন, তারা খুলনা থেকে উঠেছে। এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে রায়হান পকেট থেকে ছুরি বের করে আইয়ুবের তল পেটে আঘাত করেন। ছুরির আঘাতে তিনি লঞ্চের ওপর লুটিয়ে পড়েন।
পরে কেরানি এগিয়ে এলে অপর আসামি তামিম হাসান আকাশ পকেট থেকে ছুরি বের করে তার ওপরও চড়াও হয়। উপস্থিত জনতা তাদের দুইজনকে গণধোলাই দিয়ে আমাদি পুলিশ ক্যাম্পে সোপর্দ করে। আহত আউয়ুব আলীকে প্রথমে জায়গীর মহল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
পরের দিন ওই ঘটনায় লঞ্চ মাস্টার মো. আলমগীর মোল্লা বাদী হয়ে কয়রা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন (যার নং-৬)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা একই বছরের ৩০ নভেম্বর রায়হান সরদারকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। এ মামলায় ১৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ রায় দেওয়া হলো।