রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ জাতির সমৃদ্ধি ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে জনস্বার্থে সততা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি সোমবার (২২ মার্চ) রাজধানীর জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো যদি জনস্বার্থে সততা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করে তবে জাতির সমৃদ্ধি ও কল্যাণ নিশ্চিত করা যাবে।
জনগণের প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক কার্যক্রমের কথা স্মরণ করে রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, যদি রাজনৈতিক দলগুলো দরিদ্র মানুষের পাশে তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী দাঁড়াতে পারে, তবে, দেশের রাজনীতিতে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে।
রাষ্ট্রপতি ১০ দিন ব্যাপী মুজিববর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানের ৬ষ্ঠ দিনে তেজগাঁ প্যারেড গ্রাউন্ডে উপস্থিত হয়ে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন দর্শন ও চিন্তা-ভাবনার কথা যথাযথভাবে প্রচারের কথাও উল্লেখ করেন।
বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারী সম্মানিত বিশেষ অতিথি এবং বিশিষ্ট লেখিকা সেলিনা হোসেন মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা, রাষ্ট্রপতির সহধর্মিণী রাশিদা খানম এবং নেপালের প্রেসিডেন্টের কন্যা উষা কিরণ ভাণ্ডারী।
ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে বঙ্গবন্ধুর নীতি, আদর্শ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে বেড়ে উঠতে পারে সেই লক্ষ্যে উদ্যোগী হতে রাষ্ট্রপতি সকলকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম, চিন্তা-চেতনা ও দর্শন বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের তরুণ প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দিতে হবে।’
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কিছু বলতে গেলে অনিবার্যভাবে ইতিহাস এসে পড়ে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধু স্কুলজীবন থেকেই জনকল্যাণে নিবেদিত ছিলেন। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সুখ বা আনন্দ সম্পর্কে খুব একটা চিন্তা করতেন না। ছোটোবেলা থেকেই বঙ্গবন্ধু নিজের সুখ-দুঃখের কথা না ভেবে অন্যকে নিয়ে ভাবতেন। জীবনের প্রতিটি ক্ষণে যেখানেই অন্যায়-অবিচার, শোষণ-নির্যাতন দেখেছেন, সেখানেই প্রতিবাদে নেমে পড়েছেন। কখনো নিজের এবং পরিবারের গণ্ডির মধ্যে বাঁধা পড়েননি।