মেহেরপুরের মুজিবনগর থেকে ভারতের নদীয়া হয়ে কলকাতা পর্যন্ত ‘স্বাধীনতা সড়ক’টি ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবে। যে সড়ক ধরে ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল জাতীয় চার নেতা মুজিবনগরের আম্রকাননে এসে শপথ নিয়েছিলেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রথম সরকারের। জাতীয় চার নেতার সঙ্গে এই সড়ক ধরে এসেছিলেন অসংখ্যা বিদেশি সংবাদকর্মী ও মুক্তিযোদ্ধা। বাঙালি জাতির কাছে এই সড়কটির গুরুত্ব অপরিসীম।
শনিবার (২০ মার্চ) সকাল ১১ টার দিকে মেহেরপুরের মুজিবনগরে সদ্য নির্মিত স্বাধীনতা সড়ক পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
২৬ বা ২৭ মার্চ ঐতিহাসিক মুজিবনগরের স্বাধীনতা সড়ক (মুজিবনগর-কোলকাতা) উদ্বোধন হবে বলেও জানিয়েছেন এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সড়কটির উদ্বোধন করবেন। চুক্তি অনুযায়ী সড়কে আমাদের অংশের নির্মাণকাজ শেষ করেছি। ভারতের অংশের কাজ করবে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।
এর আগে সড়ক নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। তার সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেন এবং এলজিইডি প্রধান প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ খান। মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রথম সরকারের মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা বৈদ্যনাথতলা তথা মুজিবনগর আম্রকাননে শপথ গ্রহণ করেন। মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ পরিচালিত হয়।
জাতীয় চার নেতাসহ নেতৃবৃন্দ, দেশি বিদেশি সাংবাদিক ভারত থেকে এই সড়ক দিয়ে মুজিবনগরে প্রবেশ করেছিলেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সঙ্গে সড়কটির নাম জড়িয়ে থাকায় তা সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয় বর্তমান সরকার।