বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের কৃত্রিম দেয়াল তৈরি হয়েছিল। তবে দীর্ঘসময় পর শেখ হাসিনা সরকার প্রথম মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের পর সম্পর্কের নতুন সেতুবন্ধন তৈরি হয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। সাক্ষাত শেষে সেতুমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনে ইতোমধ্যে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। দীর্ঘদিনের সীমান্ত চুক্তিসহ ছিটমহল বিনিময় ছাড়াও দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে। তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনে ইতোমধ্যে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে।
বৈঠকে ভারতীয় ঋণ কর্মসূচির আওতায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়েও কথা হয় বলে জানান কাদের।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদি বিজেপি নেতা হিসেবে নন, তিনি বাংলাদেশ সফরে আসছেন প্রতিবেশী দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতা দানকারী প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ায় আমি আনন্দিত। এর মাধ্যমে দু’দেশের সরকারের পাশাপাশি পিপল টু পিপল কন্টাক্ট নতুন উচ্চতা লাভ করবে।’
এসময় ওবায়দুল কাদের নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের সাফল্য কামনা করেন।