ভোটের জন্য নির্ধারিত বুথে ‘গোপন ক্যামেরা’ খুঁজে পেয়েছেন বলে বিরোধীদলীয় জোটের রাজনীতিকরা অভিযোগ তোলার পর এমপিদের মধ্যে হট্টগোল শুরু হলে পাকিস্তানের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটের নির্বাচন কিছু সময়ের জন্য বন্ধ করে রাখা হয়েছিল।
বিবিসি এ খবর জানিয়ে লিখেছে, গোপন ক্যামেরা ও তা নিয়ে হট্টগোলের জন্য এখন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) ও বিরোধীদলীয় জোট একে অপরের দিকে অভিযোগ তুলেছে।
উচ্চকক্ষ সিনেটের চেয়ারম্যান নির্বাচনে ভোটের আয়োজন করা হলেও এই ঘটনায় তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ওই নির্বাচন বিতর্কিত হয়ে পড়েছে। সরকার সমর্থিত প্রার্থী সাদিক সাঞ্জরানি পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
সাদিক সাঞ্জরানি বিরোধীদের প্রার্থী ও পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানিকে ৪৮-৪২ ভোটে পরাজিত করেন। সিনেটের এই নির্বাচনকে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নেতৃত্বের পরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছিল।
পাকিস্তান পিপলস পার্টির সিনেটর রাজা রাব্বানি বুথে ক্যামেরা থাকার ঘটনাকে ‘অসাংবিধানিক’ অ্যাখ্যা দিয়ে এ ঘটনার তদন্ত দাবি করলে বিরোধী দলগুলোর অন্য এমপিরাও ‘শেইম’, ‘শেইম’ বলে তাতে সমর্থন জানান।
পিপিপির আরেক সিনেটর নেতা মুস্তাফা নওয়াজ খোখার টুইটারে গোপন ক্যামেরার একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ভোট দেওয়ার সময় বুথে ঠিক তার মাথার উপরে তিনি এই গোপন ক্যামেরা খুঁজে পেয়েছিলেন।
দেশটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী ফাওয়াদ হুসাইন বলেছেন, বুথে যে গোপন ক্যামেরা ছিল তা সংসদ ভবনের নিরাপত্তার অংশ। তবে তথ্যমন্ত্রী শিবলি ফারাজ বলেছে, এটা বিরোধীদের ‘অশুভ’ পরিকল্পনার অংশ।
পাকিস্তানের দৈনিক ডনের ইংরেজি সংস্করণে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সিনেট নির্বাচনে হট্টগোলের পর বুথটি বাতিল করা হয় এবং নতুন বুথ তৈরি করে সেখানে সিনেটরদের ভোট নেওয়া হয়।