বাজারে মৌসুমের নতুন সবজি হিসেবে উঠতে শুরু করেছে সজনে ডাটা। তবে এ সবজিটির দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। এক কেজি সজনে ডাটা বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা। দিকে, সপ্তাহের শুরুতে হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়া পেঁয়াজের দাম আবারও বেড়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ৫৫ টাকা হয়ে গেছে।
এর সঙ্গে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মুরগি। তবে পটল ও ঢেঁড়সের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা কমেছে। এছাড়া আলু, টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি, করলা, গাজর, বেগুনসহ বেশিরভাগ সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
শুক্রবার (১২ মার্চ) সকালে রাজধানীর মিরপুরের মুসলিম বাজার, ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।
এসব বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি শালগম বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা, গাজর ২০ থেকে ৩০ টাকা, শিম ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বেগুন ৩০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ থেকে ৪০ টাকা, টমেটো ২০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা। প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়, বাঁধাকপি প্রতি পিস ২০ টাকা। মিষ্টি কুমরার প্রতিকেজি ৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, প্রতিকেজি লতি ৬০ টাকা ও আলু ১৮ টাকা। এছাড়াও ছয় কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা। প্রতি হালি কলা বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়। আর কাঁচা মরিচ প্রতিকেজি ৬০ টাকা। পেঁপে প্রতি কেজি ২০ টাকা, ক্ষিরা ৩০ টাকা, শসা ৪০ টাকা। মটরশুঁটি প্রতিকেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা। লেবুর দাম বেড়ে প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। আর আমদানি করা রসুন প্রতিকেজি ১২০ টাকা ও দেশি রসুন (কাঁচা) প্রতিকেজি ৬০ টাকা ও আদা ৬০ টাকা।
বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। প্রতি কেজি বিআর-২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা, মিনিকেট ৬৫ টাকা, নাজির ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, স্বর্ণা চাল ৪৮ টাকা, পোলাওয়ের চাল ৯০ থেকে ১০০ টাকা। খোলা ভোজ্যতেল প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকা।
পাঁচ টাকা দাম কমে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন ১৫০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা।
কেজিতে ৫০ টাকা দাম বেড়ে প্রতিকেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ টাকা ও ব্রয়লার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায় এবং লেয়ার মুরগি প্রতিকেজি ২০০ থেকে ১৯০ টাকা।
এসব বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে গরু ও খাসির মাংস ও মসলাসহ অন্যান্য পণ্যের দাম। বাজারে প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, বকরির মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা।
এসব বাজারে প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, মাগুর মাছ ৬০০ টাকা, প্রতিকেজি শিং মাছ (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, মৃগেল ১১০ থেকে ১৫০ টাকা, পাঙাস ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, চিংড়ি প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, বোয়াল মাছ প্রতিকেজি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, কাতল ১৭০ থেকে ২৮০ টাকা, ফলি মাছ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, পোয়া মাছ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, পাবদা মাছ ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, টেংরা মাছ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০ টাকা, সিলভার কাপ ১০০ থেকে ১৪০ টাকা, দেশি কৈ মাছ ৭০০ টাকা, কাঁচকি ও মলা বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, আইড় মাছ ৫০০, রিটা মাছ ২২০ টাকা ও কোরাল ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা, বাইলা (ছোট) ১২০ টাকা, রূপ চাঁদা মাছ কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মিরপুর ১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা মো. করিম বলেন, খুচরা বাজারে মুরগির দাম চড়া। বাজারের চাহিদা অনুযায়ী মুরগি অনেক কম থাকায় দাম বেশিতে বিক্রি করতে হচ্ছে। আসা করছি দ্রুতই মুরগির দাম কমে আসবে।