মুম্বাইয়ের ফিল্ম সিটিতে ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বাড়ি, কখনো টুঙ্গিপাড়ার ঘাট, কখনো বা কলকাতা দৃশ্যমান হয়ে উঠতে দেখা গেল।
শ্যাম বেনেগালের পরিচালনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিকের শুটিং চলছে মুম্বইয়ের ফিল্ম সিটিতে। বায়োপিকটির দৃশ্যায়নের জন্যই সেট ফেলে সেখানে তৈরি করা হয়েছে ঢাকার ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক ধানমন্ডির বাড়িটি।
ধানমন্ডির সেই বাড়ি। খাওয়ার টেবিলে শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭০-এর গোড়ার কথা। তার স্ত্রী শেখ ফজিলাতুন্নেছা ভাত বেড়ে দিয়েছেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু খাচ্ছেন না। তার মনখারাপ। তার মনে পড়ে যাচ্ছে, ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষের কথা। তাই তিনি উদাস।
মনিটরে চোখ রেখে বসেছিলেন পরিচালক শ্যাম বেনেগাল। ৮৬ বছরের তরুণ। চেঁচিয়ে বললেন, কাট। মুম্বইয়ের ফিল্ম সিটির সেটে এভাবেই উঠে আসছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের টুকরো ছবি। কখনো ধানমন্ডির বাড়ি, কখনো টুঙ্গিপাড়ার ঘাট, কখনো বা কলকাতার দৃশ্য।
শেখ মুজিবের জন্মশতবর্ষ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার পঞ্চাশতম বার্ষিকী উপলক্ষে ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হচ্ছে এই বায়োপিক। বাংলা ছাড়াও যা হিন্দি ও ইংরেজিতেও হবে।
শুটিং শুরুর কথা ছিল অনেক আগে। কিন্তু বাদ সেধেছিল করোনা। পরিস্থিতি একটু ভালো হতেই পুরোদমে কাজ শুরু করে দিয়েছেন শ্যাম বেনেগাল।
ডয়চে ভেলে এক প্রতিবেদনে জানায়, ৮৬ বছর বয়সেও শুটিং ফ্লোরে আগের মতোই সক্রিয় শ্যাম বেনেগাল। বিশাল সেটের প্রতিটি খুঁটিনাটি তার নজরে। প্রচুর মানুষ কাজ করে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুর শুটিং যাতে নিখুঁত হয় তা নিশ্চিত করতে।
বর্তমানে বঙ্গবন্ধুর জীবনের প্রথম দিকের ঘটনা এবং ঘরোয়া বিষয়গুলো ক্যামেরায় ধরে রাখতে চাইছেন নির্মাতা।
শ্যাম বেনেগালের লক্ষ্য ২৬ মার্চের মধ্যে মুম্বাইয়ে শুটিং শেষ করে ফেলা। তিনি জানিয়েছেন, যুদ্ধের দৃশ্য. জনসমাবেশের শুটিং হবে বাংলাদেশে।
শেখ মুজিবুর রহমান যে বিশাল ও ঐতিহাসিক জনসভাগুলি করেছেন, সেটা অত্যন্ত বিশ্বাসযোগ্যভাবে ছবিতে ফুটিয়ে তোলার কাজটা মোটেই সহজ নয়। তবে বেনেগাল এর আগে গান্ধী, সুভাষচন্দ্র, নেহরুকে নিয়ে সিনেমা করেছেন। সেখানেও ছিল বড় আয়োজন।
ছবিতে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন আরিফিন শুভ। আরও অভিনয় করছেন ঢাকার নাটক-সিনেমার একগুচ্ছ তারকা।