লা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের কন্দ্রকপুর গ্রামে প্রতিবেশী দাদার বিরুদ্ধে ৮ বছরের নাতনিকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। রক্তাক্ত অবস্থায় ধর্ষণের শিকার ৪র্থ শ্রেণীর ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ।
ধর্ষণের শিকার ছাত্রী রাজাপুর ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ডের আব্দুল মাকেল জমাদ্দার বাড়ির দরজায় কারিনিয়া নুরানি মাদ্রাসার ৪র্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
বুধবার (৩ মার্চ) দুপুরে রাজাপুর ৬নং ওয়ার্ডের মোখলেস খাঁন বাড়ীতে এই ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত রাজাপুর ইউনিয়নের জনতাবাজারের ব্যবসায়ী ও মীরা বাড়ির খলিল মীরার ছেলে ছালাউদ্দিন মীর (৪৫)।
ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর চাচি বলেন, আজ দুপুরে ছালাউদ্দিন মীর আমাদের বাসায় এসে পানি চেয়ে চলে গেছে। কিছুক্ষণ পর এসে দেখি আমার দেবরের মেয়ে কাকি কাকি করে চিৎকার দিচ্ছে, এসে দেখি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে আর ছালাউদ্দিন মীর দৌড়ে পালিয়ে যাচ্ছে।
আমার দেবরের মেয়ের এই অবস্থা দেখে আমি অজ্ঞান হয়ে গেছি।
শিশুটির দাদি জানান, আমি বাড়ি ছিলুম না দুপুরে স্থানীয়দের ডাক চিৎকার শুনে বাড়ি এসে রক্তাক্ত অবস্থায় তার নাতনীকে দেখি। পরে এলাকার লোকজন এসে পুলিশকে জানালে পুলিশ রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ছালাম জমাদার বলেন, আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে পুলিশকে জানিয়েছি।
ভোলা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, মুমূর্ষ অবস্থায় শিশুটিকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। বর্তমানে তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
ভোলা সদর থানার এসআই রঞ্জিত সরকার বলেন, রাজাপুরে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে শুনতে পেয়ে আমরা সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ছুটে আসি। এখানে এসে আমরা শিশুটিকে দেখতে পাই। এবং ডাক্তারের সাথে কথা বলে জানতে পাড়ি সে চিকিৎসারত আছে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি।
এই বিষয়ে ভোলা সদর থানার ওসি এনায়েত হোসেন বলেন, অভিযুক্ত সালাউদ্দিনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। পুলিশ এখনো সেই এলাকায় আছে এবং ধর্ষণের শিকার মাদ্রাসার ছাত্রীকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।