ভবিষ্যতে করোনার যে টিকা আসবে সেটাও সরকার বিনামূল্যে দেবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বুধবার (৩ মার্চ) টিকাদান কর্মসূচির ১ মাস পার হওয়ায় সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
নিজেদের অর্ডারের পাশাপাশি কোভ্যাক্স থেকে বাংলাদেশ ৪ কোটি ডোজ টিকা পাবে। এর মধ্যে ৩৩ লাখের বেশি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে আর রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেছে প্রায় ৪৫ লাখ।
বিদেশিদের ক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকা অনুযায়ী ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
প্রথম দফায় জুন-জুলাই মাস পর্যন্ত ভ্যাকসিন দেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এরপর ডিসেম্বর পর্যন্ত আলোচনা করা হবে কীভাবে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। জুন-জুলাই মাস পর্যন্ত আশা করি আমাদের যে অর্ডার আছে এবং কোভ্যাক্স থেকে পাব, সেটি মিলে ৪ কোটি ডোজ টিকা হাতে থাকবে।
তিনি বলেন, প্রায় এক মাস ভ্যাকসিন আমরা দিয়েছি, ভ্যাকসিনের কার্যক্রম এক মাস হয়ে গেছে। আর সেটা সফলতার সঙ্গে দেওয়া হয়েছে। এ সফলতার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে প্রথমে ধন্যবাদ জানাই। তার নিবিড় তত্ত্বাবধানে আমরা কাজ করেছি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাই, বিশেষ করে মাঠপর্যায়ে যারা আছেন সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ধন্যবাদ জানাই। ভ্যাকসিনের এ প্রোগামে দেশবাসী সন্তুষ্ট। অনেক সুমান পেয়েছি আর আমরা এ সুনামটি ধরে রাখতে চাই। ৩৩ লাখের বেশি যাদের ভ্যাকসিন দেওয়া আছে তাদের প্রত্যেকে সুস্থ আছেন। কোনো জায়গাতে কোনো অঘটন ঘটেনি।
স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হচ্ছে, সে জন্য তাদের ভ্যাকসিন দিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে তারা সেটি পেয়ে যাবেন বলেও জানান মন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, দ্বিতীয় ডোজ হাতে রেখে পরিকল্পনা করছে সরকার। ভ্যাকসিন খাতে সাড়ে ৩ হাজার মিলিয়ন ডলার ঋণ দিতে বাংলাদেশকে প্রস্তাব দিয়েছে বিভিন্ন সংস্থা। কোভ্যাক্স অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১ কোটি ৯ লাখ ভ্যাকসিন দেবে বাংলাদেশকে।
এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ওই দিন ২১ জনকে করোনার টিকা দেওয়া হয়। এর পরদিন রাজধানীর ৫টি হাসপাতালে ৫৪৬ জনকে টিকা দেওয়া হয়।