রাশিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা অ্যালেক্সি নাভালনিকে ‘নোভিচক’ নার্ভ এজেন্ট হামলায় হত্যাচেষ্টার জেরে দেশটির ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। খবর বিবিসি।
মঙ্গলবার (২ মার্চ) ওই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা আসে। পুতিন প্রশাসনের সাত জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এবং রাসায়নিক উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত ১৪ প্রতিষ্ঠানের ওপর এই নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
২০২০ সালে সাইবেরিয়া থেকে মস্কোয় ফেরার পথে নাভালনিকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। বিষ প্রয়োগে অসুস্থ নাভালনি কোমায় চলে গিয়েছিলেন। পরে জার্মানিতে দীর্ঘদিনের চিকিৎসায় তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন।
জার্মানি থেকে গত ১৭ জানুয়ারি মস্কো ফেরার পর বিমানবন্দরেই আটক হন নাভালনি। পরে সাজা স্থগিতের শর্ত লঙ্ঘনের জন্য মস্কোর একটি আদালত তাকে সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
নাভালনির মুক্তির দাবিতে তার সমর্থকরা রাশিয়া জুড়ে বিক্ষোভ করছেন। তাদের অভিযোগ, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশেই নাভালনিকে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল। নাভালনিকে বিষ প্রয়োগের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে রুশ সরকার। বরং তারা সত্যিই নাভালনিকে নার্ভ এজেন্ট প্রয়োগ করে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল কি না তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা দ্রুত নাভালনিকে মুক্তি দিতে বলেছেন। কিন্তু রুশ সরকার সে কথা কানেই তুলছে না। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পর এখন ইইউ থেকেও রাশিয়ার ওপর একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে।
নাভালনি কাণ্ডে বিরোধের জেরে এরই মধ্যে ইউরোপীয় কূটনীতিকদের বহিষ্কার করেছে রাশিয়া। জবাবে জার্মানি, পোল্যান্ড এবং সুইডেন রুশ কূটনীতিকদের বহিষ্কার করেছে। ইইউ রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের হুঁশিয়ারিও দিয়েছে।