ইকুয়েডরে কারাগারের ভেতরে রক্তক্ষয়ী দাঙ্গায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭৯ জনে পৌঁছেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও কয়েক ডজন মানুষ। তিনটি পৃথক কারাগারে চলতি সপ্তাহে এই দাঙ্গার ঘটনা ঘটে বলে গত মঙ্গলবার জানায় দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটি।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, স্থানীয় সময় গত সোমবার রাতে ইকুয়েডরের গুয়াইয়াকুইল, কুয়েঙ্কা এবং লতাকুঙ্গা শহরের কারাগারে এই দাঙ্গার ঘটনা ঘটে। কারাগারে বন্দি থাকা বিভিন্ন প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপের সদস্যদের মধ্যে প্রধান্য বিস্তার নিয়ে বিরোধের কারণে এই দাঙ্গার সৃষ্টি হয়। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, দাঙ্গার সময় বিবদমান পক্ষগুলো একে অপরের ওপর বন্দুক ও ছুরি নিয়ে হামলা করে। এতেই ওই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
এদিকে দাঙ্গার পর মঙ্গলবারই সংশ্লিষ্ট কারাগারগুলো নিয়ন্ত্রণে আনে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। এছাড়া সেখানে মোতায়েন করা হয় শত শত পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর সদস্য।
দেশটির কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে আলজাজিরা জানিয়েছে, সম্প্রতি কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর দেশটির সবচয়ে বড় ও শক্তিশালী সন্ত্রাসী দল লস চনেরস’র প্রধান নিহত হওয়ার পর দুর্বৃত্তদের মধ্যে নেতৃত্ব নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এর জের ধরেই সোমবার কারাগারে রক্তক্ষয়ী এই দাঙ্গার সৃষ্টি হয়।
মঙ্গলবার ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট লেনিন মরেনো বলেন, আজ দেশের জন্য একটি বিষাদময় দিন। টুইটারে তিনি বলেন, ‘গতকালের দাঙ্গা কোনো কাকতালীয় ঘটনা নয়। এটা কারাগারের বাইরে থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। নেতৃত্ব ও মাদক চোরাচালান নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে দাঙ্গা এবং এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।’
সূত্র: আলজাজিরা