চলতি বছরের অক্টোরের ভারতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এজন্য গত ডিসেম্বরের মধ্যেই ভারতের কাছ থেকে ভিসা আর নিরাপত্তার নিশ্চয়তা এনে দিতে আইসিসিকে অনুরোধ করেছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। কিন্তু ভারত এখনো তা না দেওয়ায় শেষবারের মতো স্মরণ করিয়ে দিয়ে হুমকি দিলো পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তায় থাকা পিসিবি আইসিসির কাছে দাবি করেছিল ২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে যেন ভারত থেকে পাকিস্তানের ক্রিকেটার, সমর্থক, বোর্ড কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের ভিসা ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা এনে দেওয়া হয়। কিন্তু ফেব্রুয়ারি মাস শেষ হতে চললেও এখনো সেই কথা রাখেনি বিসিসিআই। তাই এই ব্যাপারে আবার মুখ খুললেন পিসিবি সভাপতি এহসান মানি।
ভারতকে আবার নতুন করে আলটিমেটাম দিয়েছে পিসিবি। এবার তারা বলেছেন আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে এই অঙ্গীকারের নিশ্চয়তা দিতে। ভারত যদি এবারও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা করতে ব্যর্থ হয় তাহলে অন্য কোনো দেশ বিশেষ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিশ্বকাপ নিয়ে যাওয়ার আবেদন করবে পিসিবি। এ ব্যাপারে সংস্থাটির চেয়ারম্যান এহসান মানি বলেছেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলকে (আইসিসি) বলেছিলাম ভারতের কাছ থেকে ভিসা ও নিরাপত্তা নিয়ে লিখিত অঙ্গীকার এনে দিতে। ভারত ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে জবাব দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যদি ৩১ মার্চের মধ্যে ভারতের দিক থেকে কোনো নিশ্চয়তাপত্র না আসে, সে ক্ষেত্রে পিসিবি আইসিসিকে বলবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভেন্যু ভারত থেকে বদলে দিতে, সেটা হতে পারে সংযুক্ত আরব আমিরাত।’
খেলোয়াড় তো বটেই, পাকিস্তানের ক্রিকেটের সমর্থক, ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তা আর পাকিস্তান থেকে বিশ্বকাপ কাভার করতে যাওয়া সাংবাদিক—সবার জন্যই ভিসার নিশ্চয়তা চেয়েছে পাকিস্তান।
অনেকদিন ধরেই পাকিস্তান-ভারতের মধ্যে চলে আসছে রাজনৈতিক বৈরী সম্পর্ক। যে কারণে ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সিরিজ আলোর মুখ দেখে। শুধু তাই নয় ভারতের ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগ আইপিএলে খেলতে পারেন না পাকিস্তানের খেলোয়াড়েরা। এখন দেখা যাচ্ছে, রাজনীতির প্রভাবটা বিশ্বকাপেও পড়ার শঙ্কা দেখা দিচ্ছে। মানিও সেটিই বললেন। পাকিস্তানের কখনো ভারতে গিয়ে ক্রিকেট খেলতে আপত্তি ছিল না জানিয়ে পিসিবি চেয়ারম্যানের কথা, ‘খেলার সঙ্গে রাজনীতিকে জড়ানো একটা অস্বাস্থ্যকর ব্যাপার। সৌরভ গাঙ্গুলীর (ভারতের কিংবদন্তি অধিনায়ক ও বর্তমান বিসিসিআই সভাপতি) সঙ্গে আমার সম্পর্কটা খুব ভালো। তিনিও চান ভারতীয় দল পাকিস্তানে এসে খেলুক। কিন্তু তাঁদের সরকারই ক্রিকেটে রাজনীতি ঢুকিয়ে দেয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘তিন মোড়লের প্রতি ঝোঁকার মানসিকতা থেকে বেরোনো দরকার। বিসিসিআই অন্য ক্রিকেট বোর্ডগুলোকে নিজেদের দিকে টানে। দেশের ভেতরে ও বাইরে সব পক্ষের কাছেই আমরা আমাদের ইচ্ছার কথা পরিষ্কার করে দিয়েছি, আর সেটি হলো ভারতকে ছাড়াই আমরা আমাদের ক্রিকেট এগিয়ে নিতে চাই।’