আবু ধাবিতে অনুষ্ঠিত টি-টেন লিগ নিয়ে ক্রিকেটাঙ্গনে প্রশ্নের শেষ নেই। আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিট (আকসু) মনে করছে টি-টেন লিগের এবারের আসরে জুয়ার জমজমাট ব্যবসা হয়েছে। বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে সন্দেহের নজরে দেখছে আকসু। তাদের মাঝে আছেন বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার।
টুর্নামেন্ট চলাকালীন সময়ে ফিক্সিং করার সন্দেহে সানডে সিং নামের এক ক্রিকেটারকে আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগের কর্মকর্তারা বায়োসিকিউর বাবল থেকে বের করে দিয়েছিলেন। এর বাইরে নতুন করে আরো ৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে আকসু।
বাংলাদেশি ৩ জনের মধ্যে আছেন নাসির হোসেনের নেতৃত্বাধীন দল পুনে ডেভিলসের খেলোয়াড় মনির হোসেন। টুর্নামেন্ট চলাকালীন সময়েই হোটেলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে আকসু। অপর দুজন খেলোয়াড় হলেন মারাঠা অ্যারাবিয়ান্সের সোহাগ গাজী এবং মুক্তার আলী।
দেশের এক জাতীয় দৈনিককে মনির বলেছেন, শেষ ম্যাচে ফিল্ডিং করার সময় হাতে ব্যথা পেয়েছিলাম। ব্যথা নিয়েই কেন বোলিং করেছি, আকসু কর্তারা সেটা জানতে চেয়েছিলেন। আমাকে জানানো হয়েছে, যোগাযোগ করা হলে যেন সহযোগিতা করি।
আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, মনিরকে একটি ডেলিভারি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। এছাড়া তার মোবাইলও পরীক্ষা করা হয়। জানতে চাওয়া হয়েছে তার এজেন্টের নাম।
এদিকে সোহাগ গাজী এ প্রসঙ্গে বলেন, ঢাকা থেকে যাওয়ার আগেই বিসিবির অ্যান্টি করাপশন ইউনিটের কর্মকর্তারা আমাদের ব্রিফ করেছেন। ওখানে যাওয়ার পর থেকেই বায়োসিকিউর বাবলে থাকতে হয়েছে। হোটেলেই থাকতেন আকসু কর্মকর্তারা। বাইরের কারও সঙ্গে যোগাযোগের কোনো সুযোগ ছিল না।
মুক্তার আলীর এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।