দেশের জনগণের ১ শতাংশ এরইমধ্যে টিকা নিয়েছেন বলে জানিয়েছে রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, পৃথিবীতে খুব কম সংখ্যক দেশই পেরেছে এই সফলতা অর্জন করতে।
শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীতে বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সংলাপে উঠে এসেছে দেশের করোনা পরিস্থিতির সার্বিক চিত্র। অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞরা বলেন, টিকা নিলেও শতভাগ সুরক্ষার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই।
প্রথমদিকে করোনার টিকা আগ্রহ কম দেখালেও এখন দ্বিগুণ উৎসাহে টিকা নিচ্ছে সাধারণ মানুষ। কোন কোন কেন্দ্রে লক্ষ্যমাত্রার দেড়গুণ পর্যন্ত টিকা নিতে ভিড় করছেন আগ্রহীরা।
পৃথিবীতে যে অল্প কয়েকটি দেশ তার মোট জনসংখ্যার ১ শতাংশের টিকা নিশ্চিত করেছে তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের করোনা নিয়ে দ্বিতীয় সংলাপে এ তথ্য জানান রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর।
তিনি বলেন, খুব অল্প দেশ নিজ জনসংখ্যার ১ শতাংশ মানুষকে ভ্যাকসিন দিয়েছে। আমাদের ১৮ লাখ ৪৭ হাজার মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে। যা শতাংশ হিসেবে ১ এর অধিক।
বিএমএ-এর সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সানাল বলেন, টিকার অধিক কার্যকারিতা নিশ্চিতে ২টি ডোজের ব্যবধান ৮ সপ্তাহের পরিবর্তে ১২ সপ্তাহে উন্নীত করা হলে ভালো হবে।
একটানা ৬০ লাখ টিকা দেয়ার ৮ সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ দিতে সরকারের নতুন সিদ্ধান্তের কথা জানান আইইডিসিআর এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা।