সরকারি বেসরকারি সব চাকরির নিয়োগের ক্ষেত্রে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করতে সরকারি আদেশ হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এক সাক্ষাৎকারে সাননিউজকে তিনি এসব কথা জানান। ডোপ টেস্ট সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা মন্ত্রণালয়ে মিটিং করেছিলাম, সেই মিটিংয়ের ফলোআপ হিসেবে এটা ইতিমধ্যেই হয়ে গেছে। এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী অনুশাসন দিয়ে দিয়েছেন।
এর আগে আমরা আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত যে মিটিং করেছিলাম মন্ত্রণালয়ে, সেখানে ডোপ টেস্টের ব্যাপারে সুপারিশ ছিল, সেই সুপারিশ অনুসারে প্রধানমন্ত্রী অনুশাসন দিয়ে দিয়েছেন যে, সবক্ষেত্রে ডোপ টেস্ট করতে হবে।
কোন প্রক্রিয়ায় এটি কার্যকর হবে বা এটি কার্যকর করবে কোন কর্তৃপক্ষ? এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সরকারি চাকরিতে নিয়োগের আগে যে মেডিকেল চেকআপ হয়, সেখানে এটা ইনক্লুড হয়েছে, সেখানে ডোপ টেস্টও করা হবে। যারা মেডিকেল চেকআপ করেন, এটি কার্যকর করার জন্য তাদের প্রতিই নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এটি কার্যকর হয়ে গেছে।
সরকারি চাকরিতে সব নিয়োগে কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রত্যেকের ডোপ টেস্টের ব্যবস্থা করা হবে বলে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বুধবার জানিয়েছিলেন মোজাম্মেল হক। কবে নাগাদ এই ব্যবস্থা করা হবে?-তা জানতে চাইলে এসব কথা বলেন তিনি।
উল্লেখ্য গত বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে মন্ত্রী বলেন, যত কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ হবে, সেটা বিসিএস হোক আর যাই হোক, প্রত্যেকের ডোপ টেস্ট করা হবে।
“কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রেও ডোপ টেস্ট চালু করা হবে। যারা চাকরিতে আছেন তাদের বিরুদ্ধে মাদক গ্রহণের অভিযোগ পাওয়া গেলে তাদেরও ডোপ টেস্ট করা হবে। এই কার্যক্রম ব্যাপক হারে প্রয়োগ হবে এবং বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।”
সেদিন মোজাম্মেল হক বলেন, “চাকরিতে যারা আছেন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (মাদক সেবনের) পাওয়া গেলে কেবল তাদের ডোপ টেস্ট হবে। গড় হারে করা হবে না, সবার গড় হারে করা সম্ভব না।”
মন্ত্রী জানান, মাদকমুক্ত এলাকা ঘোষণা করার জন্য দুইটি জেলায় পাইলট প্রকল্প চালু করা হবে। এ জেলা দুইটি হল চট্টগ্রাম ও দিনাজপুর। এ জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবকে প্রধান করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি এই জেলা দুটিকে মাদকমুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
মন্ত্রী বলেন, “দেশকে মাদকমুক্ত করার জন্য তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মাদকসেবী, বিক্রেতা এবং এদের আশ্রয়দাতাদের চিহ্নিত করে দমন করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে”।
তিনি আরও বলেন, “গোয়েন্দা সংস্থার প্রতি নির্দেশনা ছিল বড় মাদক ব্যবসায়ী ও চিহ্নিত গডফাদার এবং তাদের যারা আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়, তাদের তালিকা করার। তারা কিছু তালিকা তৈরি করেছে। এগুলো যাচাই-বাছাই করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”