ইনজুরির কারণে বার্সেলোনার বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষ ষোলোর প্রথম লেগে খেলতে পারেননি প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন (পিএসজি) তারকা নেইমার জুনিয়র। তবে দ্বিতীয় পর্বে তার খেলার সম্ভাবনা বেশ জোরালো ছিল। কিন্তু এর আগেই ভুল করে বসেছেন এই ফরোয়ার্ড। যার ফলে নিষিদ্ধ হতে পারেন তিনি।
ঘটনার সূত্রপাত হয় মঙ্গলবার রাতে পিএসজি বনাম বার্সেলোনা ম্যাচ থেকে। এ ম্যাচের ২৭তম মিনিটে ডি-বক্সের ভেতর ডাচ মিডফিল্ডার ফ্রাংকি ডি ইয়ংকে পেছন থেকে ফেলে দেয়া হলে রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। পরে রিপ্লেতে দেখা যায় রেফারির সিদ্ধান্তটি ভুল ছিল।
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে রেফারির এমন হাস্যকর ভুল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ বিতর্কের জন্ম দেয়। বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। সে তালিকায় ছিলেন নেইমারও!
রাতে ম্যাচ শেষে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রেফারির হাস্যকর সিদ্ধান্ত নিয়ে মজা করেন। নেইমার নিজের ভেরিফাইড টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ট্রল করে পরে টুইটটি ডিলিট করে দেন। কিন্তু সেটা উয়েফার দৃষ্টিগোচর থেকে এড়িয়ে যায়নি।
স্প্যানিশ গণমাধ্যম স্পোর্ট জানিয়েছে, উয়েফা নেইমারের করা সেই টুইট নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। দোষী সাব্যস্ত হলে কমপক্ষে দুই ম্যাচ পর্যন্ত নিষিদ্ধ হতে পারেন তিনি। এই শাস্তি পেলে বার্সার বিপক্ষে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচেও দর্শক হয়ে যাবেন পিএসজি তারকা।
নেইমারের ক্ষেত্রে এটা অবশ্য প্রথম ঘটনা না। এর আগেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে পিএসজির ম্যাচে রেফারির দেয়া এক সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে টুইট করায় তিন ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছিলেন ব্রাজিলের পোস্টারবয়।