মানবিক সংকট বৃদ্ধির শংকায় সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে অস্ত্র বিক্রি আপাতত স্থগিত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে মিসর ইস্যুতে অনেকটা ট্রাম্পের দেখানো পথেই হাঁটছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মধ্যপ্রাচ্যে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার আখ্যা দিয়ে দেশটির কাছে প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।
মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগ এক বিবৃতিতে জানায়, যুক্তরাষ্ট্র মিসরের কাছে ১৬৮টি মিসাইল বিক্রি করবে। রেথনের তৈরি রোলিং এয়ারফ্রেম মিসাইলগুলোর দাম পড়বে মোট ১৯৭ মিলিয়ন ডলার। মিসরীয় নৌবাহিনী নিজস্ব উপকূল ও লোহিত সাগরের আশপাশে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য এসব মিসাইল কিনতে চায়।
মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগ বলেছে, তারা মিসাইল বিক্রির এই প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে। বিষয়টি শিগগিরই কংগ্রেসে পর্যালোচনা করা হবে। বিবৃতিতে মিসরকে মধ্যপ্রাচ্যে গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
বাইডেনের পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে মিসরীয় প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি বেশ প্রিয় ছিলেন। ট্রাম্প তাকে সবচেয়ে প্রিয় স্বৈরশাসক বলতেন বলে শোনা যায়। তবে ক্ষমতাগ্রহণের আগে থেকেই মানবাধিকার প্রশ্নে শক্ত ভূমিকা রাখার আশ্বাস দেন জো বাইডেন। গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনে অভিযুক্ত মিসরীয় সরকারের হাতে অস্ত্র তুলে দেয়ার সিদ্ধান্তে তার সেই অবস্থান প্রশ্নের মুখে পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
ক্ষমতার একদম শেষ মুহূর্তে গত বছরের ডিসেম্বরে সৌদির কাছে ২৯ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন। এর মাসখানেক আগেই অনুমোদন পায় আমিরাতের কাছে ২ হাজার ৩০০ কোটি ডলার সমমূল্যের এফ-৩৫ ফাইটার জেট ও ড্রোনসহ বিভিন্ন অত্যাধুনিক অস্ত্র বিক্রির প্রস্তাব।
তবে ক্ষমতাগ্রহণের মাত্র এক সপ্তাহের মাথায় সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে ট্রাম্প প্রশাসনের অস্ত্র বিক্রির কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করেন বাইডেন।
সূত্র: এএফপি