বাংলাদেশী বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে সুইস ব্যাংকসহ গোপনে বিদেশে পাচার করা অর্থ অবিলম্বে ফেরত আনতে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানি শেষে আগামীকাল বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারন করা হয়েছে।
আজ বুধবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীম সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আদেশের জন্য কাল বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন। আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম খান।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। আদেশ দেয়ার তারিখের বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিমকোর্টের দুই আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাস।
রিট আবেদনে বাংলাদেশি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে সুইস ব্যাংকসহ গোপনে বিদেশে ব্যাংকে পাচার করা অর্থ ফেরত আনতে বিবাদীর ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়।
একইসঙ্গে সুইস ব্যাংকসহ বিদেশে বাংলাদেশী নাগরিকদের অতীতের এবং বর্তমানে এ ধরনের অর্থপাচার ও সন্ত্রাসবাদের অর্থায়ন পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণে একটি স্পেশাল কমিটি গঠনের নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে রিটে।
পাশাপাশি পাচারের বিষয়ে তথ্য থাকলে প্রকাশ করে পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের (রেসপনডেন্ট) প্রতি নোটিশ জারির আবেদন করা হয়েছে। রিটে অর্থসচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় সচিব, অ্যাটর্নি জেনারেল, বাণিজ্য সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ ১৫ জনকে রেসপনডেন্ট করা হয়েছে। রিট আবেদনে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংবাদপত্রের বিষয়টি নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করা হয়েছে।