spot_img

মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর হুমকির মুখে ‘থ্রি ফিঙ্গারস’

অবশ্যই পরুন

সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ সংগঠিত হয় । বিক্ষোভে শামিল হয় হাজার হাজার মানুষ। শিক্ষক, আইনজীবী, ব্যাংক কর্মকর্তা ও সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মীও এতে অংশগ্রহণ করেন। স্লোগান দেওয়ার সময় বিক্ষোভকারীরা হাতের তিন আঙুল উঁচিয়ে ধরছিল। মিয়ানমারে এই তিন আঙুল কিংবা ‘থ্রি ফিঙ্গারস’ সামরিক সরকারবিরোধী প্রতীক হয়ে উঠেছে। -এমআরটিভি

আন্দোলনকারীদের সতর্ক করে বলা হয়েছে, ‘যেকোনো সময় ধরপাকড় শুরু হতে পারে, যারা রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা, জননিরাপত্তা কিংবা আইন লঙ্ঘন করবে, তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। লাল রঙের পোশাকে মাথায় লাল ফিতা বেঁধে বিক্ষোভকারীরা জোরালো প্রতিবাদ করেন। লাল রং এনএলডির প্রতীক হিসেবে পরিচিত। সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের রাজপথে সাধারণ মানুষের বিক্ষোভ অব্যাহত আছে।পোশাক কারখানার ২৮ বছর বয়সী এক শ্রমিক বলেন, ‘আজ আমি কাজে যাইনি। বেতন কাটা গেলে সমস্যা নেই। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা কাজে ফিরব না।’ রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দেশটির বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনে। প্রায় এক লাখ মানুষ বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করে। তারা অং সান সু চিসহ এনএলডির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের মুক্তির দাবি জানায়। এদিকে বন্দি নেতাদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে সামরিক সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস।

সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ‘আগামী এক বছর মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা চলবে। এরপর গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে তারা’। তবে মিয়ানমারের জনগণ সেনাবাহিনীর এই প্রতিশ্রুতি বিশ্বাস করছে না। সামরিক সরকারের বিবৃতির বরাত দিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেল এমআরটিভিতে বিক্ষোভকারীদের সতর্ক করে দিয়ে একটি সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথম কাজ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করা: ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, জানুয়ারি মাসে দায়িত্ব গ্রহণের পর তার প্রথম কাজ হবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করা।...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ