spot_img

মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান, বিশ্ব নেতাদের প্রতিক্রিয়া

অবশ্যই পরুন

নভেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। জারি করা হয়েছে এক বছরের জরুরি অবস্থা। আটক করা হয়েছে দেশটির নেত্রী অং সাং সু চি ও প্রেসিডেন্ট ওয়েন্ট মিন্টসহ ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতাদের। এই ঘটনার পরপরই বিশ্ব নেতারা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন।

অং সান সু চি ও প্রেসিডেন্টকে গ্রেপ্তারের পর মিয়ানমারের সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনায় বেশ জোরালো ভাবেই নিন্দা প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব।

সেনা অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি বলেছে, ওয়াশিংটন সাম্প্রতিক নির্বাচনের ফল কিংবা মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক ক্ষমতা হস্তান্তরের বিকল্প যেকোনো পদক্ষেপের বিরুদ্ধে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন সব সরকারি কর্মকর্তা এবং সুশীল সমাজের নেতাদের মুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন এবং বলেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, শান্তি এবং উন্নয়নের প্রতি বার্মার জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করে। সামরিক বাহিনীর তাদের পদক্ষেপ থেকে এখনি সরে আসা উচিত।

অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক মন্ত্রী মারিজ পেইনি বলেন, আমরা আইনের শাসন মেনে চলতে, আইনি প্রক্রিয়ায় চলমান দ্বন্দ্বের নিষ্পত্তিতে এবং বেসামরিক সব নেতা ও অন্য যাদের বেআইনিভাবে আটক করা হয়ে সবাইকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে সামরিক বাহিনীকে আহ্বান জানাচ্ছি।

মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের জন সিফটন বলেন, প্রথম বিষয়টি হচ্ছে যে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা যারা কয়েক দশক ধরে দেশটিকে শাসন করেছে তারা কখনোই আসলে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ায়নি। তারা কখনোই বেসামরিক কর্তৃপক্ষের শাসন মেনে নেয়নি, আর তাই আজকের ঘটনা আসলে এতদিন ধরে চলা অবস্থারই প্রকাশ মাত্র।

ইয়াঙ্গুনভিত্তিক ইতিহাসবিদ এবং লেখক থ্যান্ট মিয়ন্ত-ইউ বলেন, ভিন্ন ধরনের একটি ভবিষ্যতের দরজা খুলল মাত্র। আমার মনে হচ্ছে যে, পরবর্তীতে যা ঘটতে যাচ্ছে তা আসলে কেউই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না।

সর্বশেষ সংবাদ

অভিবাসী তাড়াতে জরুরি অবস্থা জারি করবেন ট্রাম্প, মাঠে নামাবেন সেনাবাহিনী

যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ অভিবাসীদের গণহারে তাড়াতে দেশে জরুরি অবস্থা জারি এবং সেনাবাহিনী নামাতে নিজের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন দেশটির নবনির্বাচিত...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ