spot_img

চীনকে শত্রু বিবেচনা করবেন না, যুক্তরাষ্ট্রকে চীনা রাষ্ট্রদূত

অবশ্যই পরুন

যদি যুক্তরাষ্ট্র চীনকে `কৌশলগত শত্রু’ বলে বিবেচনা করে, তাহলে দেশটির প্রতি `অবিচার করা হবে’ বলে অনুযোগ জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত কুই টিয়ানকাই বলেছেন, এ ধরনের নীতি ভবিষ্যতে বড় কোনো ভুলের জন্ম দিতে পারে।

ট্রাম্প প্রশাসনের সময় ২০১৮ সাল থেকে চীনকে ‘বৈরীপক্ষ’ হিসেবে বিবেচনা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। বিশেষ করে গতবছর করোনা মহামারীর সময় থেকে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরম পর্যায়ে ওঠে। করোনাভাইরাসকে চীনা ভাইরাস হিসেবে একাধিকবার উল্লেখ করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনের ওপর কিছু নিষেধজ্ঞাও ট্রাম্প প্রশাসন আরোপ করেছে গত দু’ বছরে।

গত ৩ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরাজিত করেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন। ২০ জানুয়ারি দেশের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে গত এক সপ্তাহে পূর্বসূরী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একাধিক আদেশ বাতিল ও নীতি পরিবর্তনের ঘোষণা দিলেও চীনের ব্যাপারে গৃহীত নীতি পরিবর্তন করা হবে কিনা, তার কোনও আভাস এখনও দেননি জো বাইডেন। যুক্তরাষ্ট্রের অনেক রাজনীতি বিশ্লেষকরা ইতোমধ্যে ধারণা করছেন, চীনের বিষয়ে ট্রাম্পের নীতিতে তেমন পরিবর্তনে তেমন আগ্রহ নেই বাইডেন প্রশাসনের।

যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বুধবার একটি অনলাইন ফোরামে দুই দেশের সম্পর্ক বিষয়ক আলোচনায় কুই টিয়ানকাই জানান, চীন সবসময় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নীতিতে বিশ্বাসী।

তিনি বলেন, ‘চীনকে কৌশলগত বৈরীপক্ষ এবং কাল্পনিক শত্রু বলে বিবেচনা করা হলে তা হবে দেশটির প্রতি বড় ধরনের কূটনৈতিক ও কৌশলগত অবিচার। এই বিবেচনার ওপর ভিত্তি করে কোনো নীতি নেওয়া হলে তা বড় রকমের কোনও ভুলের জন্ম দিতে পারে।’

টিয়ানকাই জানান, চীন বিরোধিতা চায় না, সহযোগিতা চায়। দু’দেশের মধ্যে যেসব বিষয়ে মতপার্থক্য রয়েছে, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তার সমাধান সম্ভব বলে চীন মনে করে।

তবে তিনি আরো জানান, সার্বভৌমত্ব এবং দেশের অধিভূক্ত অঞ্চলসমূহের সংলগ্নতা- যে দু’বিষয়কে ‘রেড লাইন’ বলে অভিহিত করেছে চীন সরকার- সেখানে কোনও প্রকার হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করবে না চীন।

‘চীন তার নীতি বা অবস্থান থেকে সরবে না। আমাদের আশা, যুক্তরাষ্ট্র চীনের সার্বভৌমত্ব এবং ভৌগলিক সংলগ্নতাকে সম্মান করবে এবং আমাদের দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকবে।

ট্রাম্প প্রশাসনের সময় থেকেই হংকং, জিনজিয়াঙের পশ্চিমাঞ্চল, দক্ষিণ চীন সাগর এবং তাইওয়ানের স্বাধীনতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে একাধিকবার বাদানুবাদ হয়েছে।

অনেক আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকদের ধারণা, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের আমলেও চীনের সঙ্গে পুরোনো এই দ্বন্দ্ব জারি তো থাকবেই, উপরন্তু্ এক্ষেত্রে বহুপাক্ষিক বা বহুমত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণের সম্ভবনা রয়েছে বাইডেন প্রশাসনের।

তবে বাইডেন প্রশাসনের অধীনে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় ফিরে আসাকে স্বাগত জানিয়েছেন চীনের রাষ্ট্রদূত। পাশাপাশি বৈশ্বিক করোনা মহামারি মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করারও আগ্রহ জানিয়েছেন তিনি।

সর্বশেষ সংবাদ

অধিনায়কের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ জোসেফ

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক শাই হোপের সঙ্গে ফিল্ডিং সাজানো নিয়ে মতের অমিল হওয়ায়...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ