ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে প্রথম চালানে আসা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৫০ লাখ টিকা মানবদেহে প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। দেশে করোনার টিকা প্রয়োগ এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র। টিকাদানের অগ্রাধিকারের তালিকায় থাকছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ফুটবলাররা। খেলোয়াড়দের সুরক্ষার স্বার্থে টিকা নেয়ার বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন খোদ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।
বাফুফের সাধারণ সম্পাদক নাঈম সোহাগ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ভ্যাকসিনের ব্যাপারে আমরা কাজ করছি। সভাপতি নিজেই বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে দেখছেন। ভ্যাকসিনের সুষ্ঠু বণ্টন নিয়ে আমরা কাজ করছি। শুরুতে বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে খেলা জাতীয় দলের ফুটবলারদের প্রাধান্য দিচ্ছি। এছাড়া যারা স্টেইকহোল্ডার আছেন, স্ট্যান্ডিং কমিটিসহ জেলা পর্যায়ে ফুটবল কর্মকর্তাদের দেয়ার বিষয়ে একটা নীতিমালা চূড়ান্ত করছি। ’
পশ্চিমা দেশগুলোতে এখনো কোনো অ্যাথলেটের শরীরে করোনার ভ্যাকসিন প্রয়োগ হয়নি।
যার ফলে এর পার্শ¦প্রতিক্রিয়া নিয়ে সতর্ক বাফুফে। সোহাগ বলেন, ‘অবশ্যই বিষয়টি বিবেচনাধীন। বাফুফের মেডিকেল টিমের সঙ্গে ফেডারেশেনের নির্বাহী কমিটি আলোচনা করবে বিষয়টি। মেডিকেল টিমের সুপারিশক্রমে সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করাই কাজ হবে।’
করোনাভাইরাস মহামারীর এক বছর পেরিয়ে যাওয়ার পর আশা হয়ে এসেছে টিকা। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটেও। এই টিকার তিন কোটি ডোজ কিনতে গত ৫ই নভেম্বর সিরাম ইনস্টিটিউ অব ইন্ডিয়া ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসেনর সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশ সরকার। চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি মাসে টিকার ৫০ লাখ ডোজ পাঠানোর কথা রয়েছে। এর আগে ভারত সরকারের কাছ থেকে উপহার হিসেবে একই টিকার ২০ লাখ ডোজ পাওয়ার পর সরকার ২৭ জানুয়ারি থেকে টিকা প্রয়োগ শুরুর সিদ্ধান্ত নেয়।