রাজধানীর সদরঘাট থেকে দেশের বিভিন্ন রুটে ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছেন নৌযান শ্রমিকরা। বিআইডব্লিউটিএ ও বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সোমবার (২৫ জানুয়ারি) রাত পৌনে ৮টার দিকে বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাহ আলম চৌধুরী বলেন, আমরা বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের আহ্বান করছি তারা যেন এখনই কাজে যোগদান করেন। যাত্রীরা যেন আর ভোগান্তির শিকার না হন। এর আগে দুই লঞ্চমাস্টারের জামিন বাতিলের প্রতিবাদে দুপুরে এ ধর্মঘটের ডাক দেন নৌযান শ্রমিকরা। এতে চরম দুর্ভোগ পড়েন যাত্রীরা।
সোমবার সকালে ঢাকার মেরিন আদালতে ওই দুই লঞ্চমাস্টারের জামিন বাতিল হয়। খবরটি জানার পর যাত্রীবাহী লঞ্চগুলো পন্টুন থেকে সরিয়ে মাঝ নদীতে ও নদীর অপরপ্রান্তে নোঙর করে রাখেন।
নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের বরিশাল জেলার সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাস্টার একিন আলী জানান, গত বছর শীত মৌসুমে ঘন কুয়াশায় মেঘনা নদীতে দিক হারিয়ে ঢাকা-বরিশাল নৌপথের যাত্রীবাহী অ্যাডভেঞ্চার-১ ও অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের মধ্যে ধাক্কা লাগে। এতে বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি। দুর্ঘটনায় হতাহতও হয়নি কেউ। এ ঘটনায় দুটি লঞ্চের চার মাস্টারের সনদ স্থগিত করে তাদের বিরুদ্ধে মেরিন আদালতে মামলা করা হয়।
সোমবার সকালে মামলার ধার্য তারিখে অ্যাডভেঞ্চার-১ লঞ্চের মাস্টার জামাল হোসেন ও অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের মাস্টার রুহুল আমিন ঢাকার মেরিন আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। আদালত তাদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ ঘটনা জানতে পেরে ঢাকা-বরিশাল নৌপথের অন্য মাস্টার, সুকানি, সারেংসহ শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন শুরু করেন। ফলে দূরপাল্লার বেশিরভাগ রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।