করোনার টিকা দেয়ার বিষয়ে চিকিৎসক ও নার্সদের প্রশিক্ষণ পর্ব শুরু করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। প্রথম পর্বে ঢাকা মেডিকেল, বিএসএমএমইউ ও মুগদা হাসপাতালের ৮৫ জন চিকিৎসক ও নার্সকে এই প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। প্রশিক্ষণে ভ্যাকসিন ম্যানেজমেন্ট ও টিকাদান পদ্ধতি’সহ বেশকিছু গাইডলাইনও দেয়া হয়। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীদের এই প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
সোমবার দুপুরে দক্ষিণ সিটির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মিলনায়তনের সামনে সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন দক্ষিণ সিটির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শরীফ আহমেদ।
দক্ষিণ সিটির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তায় মাস্টার ট্রেইনার করে নিয়ে এসেছেন তারা। যারা মাস্টার ট্রেইনার হিসেবে আসছেন, প্রশিক্ষক হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন, তারাই আজকে মূলত প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন।
এক দিনের প্রশিক্ষণ পর্যাপ্ত কি না, এমন প্রশ্নে চিকিৎসক শরীফ আহমেদ বলেন, এটা জটিল কোনো বিষয় না। এই বিষয়ে এক দিনের প্রশিক্ষণই আমি মনে করি গুড এনাফ। এর মাধ্যমেই তাঁদের প্রশিক্ষিত করা হবে। কারণ, আপনারা জানেন, এই টিকা মাংসপেশিতে দেওয়া হবে। এটা জটিল কোনো প্রক্রিয়া না।
তিনি বলেন এর মধ্যে ইপিআই ভ্যাকসিন দিয়ে বিশ্বে বাংলাদেশ নজির স্থাপন করেছে। আমাদের চিকিৎসকদের, আমাদের সেবিকাদের এবং আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীদের এ বিষয়ে যথেষ্ট জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা আছে। আশা করব এর মাধ্যমে আমরা সফল হব।
প্রাথমিকভাবে, ৫ টি হাসপাতাল থেকে করোনার ভ্যাকসিন দেয়া হবে। প্রথমে টিকার .৫ মিলি ডোজ দেয়া হবে, এর ৮ সপ্তাহ পর ২য় ডোজ। গুজব রোধে সংশ্লিষ্ট সবাইকে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়। কর্মকর্তাদের গাইডলাইন পেয়ে আত্মবিশ্বাসী প্রশিক্ষণার্থীরা।
আগামী ২৭ জানুয়ারি টিকাদান কর্মসূচীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন নার্সদের টিকা প্রদান করা হবে। ২৮ তারিখ থেকে সর্বসাধারণের জন্য টিকা প্রদান উন্মুক্ত করা হবে।