spot_img

ক্ষমতা ছাড়লেই বিভিন্ন আইনী ঝামেলায় পড়বেন ট্রাম্প

অবশ্যই পরুন

আগামী ২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউস ত্যাগ করবেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শপথ গ্রহণের মাধ্যমে এ দিন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্টের পদে বসবেন জো বাইডেন। প্রেসিডেন্ট হিসাবে এতদিন সব ধরণের আইনী ঝামেলা থেকে মুক্ত ছিলেন ট্রাম্প। দায়িত্ব ছাড়ার পরে তার সেই সুরক্ষাও উঠে যাবে। ফলে বিভিন্ন অভিযোগে একাধিক মামলায় ফাঁসতে যাচ্ছেন তিনি।

ইউএস ক্যাপিটলে তাণ্ডবে অংশগ্রহণকারীদের উস্কানির দায়ে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে অভিশংসন প্রস্তাব এনেছিলেন কংগ্রেসম্যান জেমি রাসকিন। নিম্নকক্ষে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিশংসনে সফলতার পর এবার তিনি সিনেটে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে, কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটলে হামলাকারীদের উসকানি দেয়ার মধ্য দিয়ে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ইতিহাসের ‘সবচেয়ে বিপজ্জনক অপরাধ’ করেছেন। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে চলতি সপ্তাহে সিনেটে বিচার শুরু হতে পারে। ডেমোক্র্যাট নেতা জো বাইডেনও এ সপ্তাহেই প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন। গত বুধবার নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেরন্টেটিভসের ভোটে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব পাস হয়। ক্যাপিটলে হামলাকারীদের উস্কানি দেয়ায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে হাউসে ‘রাষ্ট্রদ্রোহিতায় উস্কানি’র অভিযোগ আনা হয়।

ক্ষমতা ছাড়ার পরে ট্রাম্প সবচেয়ে মারাত্মক সমস্যায় পড়তে পারেন তার নিজের শহর ম্যানহাটনেই। সেখানকার অ্যাটর্নি সাইরাস ভ্যানস তার বিরুদ্ধে একাধিক অবৈধ আর্থিক লেনদেনের তদন্ত করছেন। এর মধ্যে রয়েছে ২০১৬ সালের নির্বাচনের প্রাক্কালে এক পর্ণ তারকা ও এক প্লেবয় মডেলকে টাকা দেয়ার বিষয়গুলো। অন্যান্য সমস্যাগুলোর মধ্যে রয়েছে নিউ ইয়র্কে সম্পদের তথ্য গোপনের বিষয়টি। নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি-জেনারেল লেটিয়া জেমস এ বিষয়ে তদন্ত করছেন। তিনি জানান, ট্রাম্প ও তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লোনের জন্য আবেদনের সময় তাদের সম্পদের মূল্য বাড়িয়ে দিয়েছিল এবং পরে ট্যাক্স ফাঁকি দিতে তা আবার কমিয়ে দেখিয়েছিলেন। এছাড়াও, নিউইয়র্কে তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু দেওয়ানি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, ধর্ষনের অভিযোগে সাবেক কলামিস্ট জিন ক্যারল ও নামে একজন ও যৌন হয়রানির অভিযোগে ট্রাম্পের জনপ্রিয় টেলিভিশন শো, ‘দ্য অ্যাপ্রেন্টিস’ এর প্রতিযোগী সামার জেরভসের মামলা। ২০১৯ সালে ক্যারল দাবি করেছিলেন, ট্রাম্প তাকে ম্যানহাটনের ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের ড্রেসিংরুমে ধর্ষণ করেছিলেন। জেরভোস বলেছিলেন, ট্রাম্প তাকে টিভি সেটিই যৌন হয়রানি করেছিলেন। ট্রাম্প তাদেরকে মিথ্যাবাদী বলায় উভয়েই তার বিরুদ্ধে পরে মানহানির মামলাও করেন। ১৩ জানুয়ারী ট্রাম্পের দ্বিতীয় অভিশংসনের পরে ক্যারল টুইট করে বলেন, ‘ট্রাম্প আমাদের গণতন্ত্রকে ছিঁড়ে ফেলেছিলেন। আমি তাকে আদালতে ছিঁড়ে ফেলতে যাচ্ছি।’

নির্বাচনে হারার পরে গত ২ জানুয়ারী ট্রাম্প জর্জিয়ার সেক্রেটারি অফ স্টেটকে ভোট খুঁজে দেয়ার জন্য হুমকি দিয়েছিলেন। এ ঘটনাতেও তার বিরুদ্ধে মামলা গতে পারে। সিটিজেনস ফর রেসপন্সিবিলিটি অ্যান্ড ইথিকস ইন ওয়াশিংটনের (সিআরইডাব্লু) নামের একটি সংস্থা এ বিষয়ে তদন্তের জন্য বিচার বিভাগ ও জর্জিয়ার প্রসিকিউটরদের আহ্বান জানিয়েছে। ২০২০ সালের নির্বাচনে হস্তক্ষেপের প্রয়াসেও তার বিরুদ্ধে মালা হতে পারে। তিনি ২০১৮ সালের জুলাই মাসে তার প্রতিদ্বন্দ্বী বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করতে বলেছিলেন। বিনিময়ে সুরক্ষা সহায়তার আশ্বাস দিয়েছিলেন। এটিই ট্রাম্পের প্রথম অভিশংসনের ভিত্তি ছিল। নিউইয়র্ক আইন অনুযায়ী, এই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ গঠন করা হতে পারে।

সূত্র: এপি, ইভনিং স্টান্ডার্ড।

সর্বশেষ সংবাদ

সৌদি আরবে প্রায় ২০ হাজার প্রবাসী গ্রেপ্তার

সৌদি আরবে গত এক সপ্তাহে অভিযান চালিয়েছে প্রায় ২০ হাজার প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আবাসন, শ্রম ও...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ