spot_img

ফিলিস্তিনি বন্দীদের কোভিড-১৯ টিকা দিবে ইসরাইল

অবশ্যই পরুন

ইসরাইলি কারাগার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা ইসরাইলের কারাগারে ফিলিস্তিনিসহ সকল বন্দীদের কোভিড-১৯ প্রতিরোধে টিকার আওতায় নিয়ে আসবে। মানবাধিকার সংস্থা, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ও ইসরাইলের অ্যাটর্নি জেনারেলের আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে ইসরাইলি কারাগার কর্তৃপক্ষ রোববার এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা দিল।

ইসরাইল ইতোমধ্যেই তার বিশ লাখের বেশি নাগরিককে অন্তত একবার কোভিড-১৯ টিকার ডোজ সরবরাহ করেছে। এর মধ্য দিয়ে ইসরাইল জনপ্রতি সর্বাধিক টিকাপ্রাপ্ত লোকের দেশে পরিণত হয়েছে। কিন্তু কারাগারে বন্দীরা ছাড়াও ইসরাইল অধিকৃত পশ্চিম তীর ও অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের ফিলিস্তিনি বাসিন্দারা এখনো টিকা পাওয়ার অপেক্ষায় আছে।

এর আগে ইসরাইলের জননিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী আমির ওহানা ইসরাইলি কারাগারে ফিলিস্তিনি বন্দীদের সবার শেষে টিকার আওতায় নিয়ে আসার ঘোষণা করেন।

ইসরাইলি অ্যাটর্নি জেনারেল আভিচাই মানদেলবিলত এক চিঠিতে ওহানাকে তার মন্তব্যের জন্য তিরস্কার করেন বলে জানায় ইসরাইলি দৈনিক মা’য়ারিভ।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ ইসরাইলি ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন ইসরাইলি কারাগারে বন্দী প্রায় চার হাজার চার শ’ ফিলিস্তিনিকে টিকার আওতায় নিয়ে আসার আহ্বান জানান।

প্যালেস্টিনিয়ান প্রিজনারস ক্লাবের তথ্য অনুসারে, ইসরাইলি কারাগারের প্রায় আড়াই শ’ ফিলিস্তিনি বন্দী করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরীক্ষায় ভাইরাস সংক্রমিত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন।

ইসরাইলি স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইউলি এডিলস্টাইন গত সপ্তাহে ঘোষণা করেন, কারাগারে শিগগির টিকা সরবরাহ করা হবে।

রোববারের বিবৃতিতে ইসরাইলি কারাগার কর্তৃপক্ষ জানায়, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পূর্ণ টিকার আওতায় নিয়ে আসার পর কারাগারের মেডিক্যাল ও অপারেশন প্রটোকল অনুযায়ী বন্দীদের টিকা দেয়া শুরু হবে।

বিবৃতিতে কোনো ব্যবধান ছাড়াই সকল বন্দীকে টিকা দেয়া হবে বলে জানানো হয়। এতে আরো বলা হয়, যারা টিকা দিতে অস্বীকৃতি জানাবে, তাদের বাধ্যতামূলকভাবে অব্যাহতি পত্রে স্বাক্ষর করতে হবে।

এই বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের এক মুখপাত্র জানান, বন্দীদের টিকা সরবরাহের জন্য ইসরাইলের দায়বদ্ধতা আছে।

এর আগে রোববার হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ইসরাইলকে পশ্চিম তীরের ২৮ লাখ ও গাজা উপত্যকার ২০ লাখ ফিলিস্তিনিদের টিকা সরবরাহ করার আহ্বান জানায়।

ইসরাইল ও ফিলিস্তিনে সংস্থাটির ডাইরেক্টর ওমর শাকির পশ্চিম তীরের অবৈধ ইসরাইলি বসতিস্থাপনকারীদের টিকা সরবরাহ করা এবং ফিলিস্তিনিদের সরবরাহ না করার ইসরাইলি নীতির বিশেষ সমালোচনা করেন।

তিনি বলেন, ‘জাতিগত ভিন্নতা সত্ত্বেও একই অঞ্চলের সকলের টিকা গ্রহণে সমান সুযোগ থাকা উচিত।’

গত সপ্তাহে ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, দখলদার শক্তি হিসেবে ইসরাইল তার দায়িত্ব উপেক্ষা করছে এবং ফিলিস্তিনিদের চিকিৎসার অধিকার থেকে বঞ্চিত করে তাদের বিরুদ্ধে বর্ণবাদী বৈষম্যমূলক আচরণ করছে।

এ দিকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে তারা চার টিকা সরবরাহকের সাথে কোভিড-১৯ টিকার জন্য চুক্তি করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দরিদ্র ও মধ্য আয়ের দেশে টিকা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এই সরবরাহ আসবে।

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা মার্চের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে পশ্চিম তীর ও গাজার ৭০ ভাগ ফিলিস্তিনিকে টিকার আওতায় নিয়ে আসতে সক্ষম হওয়ার আশা করছে।

সূত্র : আলজাজিরা

সর্বশেষ সংবাদ

ইউক্রেনে নতুন রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহার উদ্বেগজনক : জাতিসঙ্ঘ

রাশিয়ার নতুন এক মাঝারি-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের ইউক্রেনে হামলা নতুন করে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। বৃহস্পতিবার জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ