তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, “দেশ যখন প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে ঠিক তখন বিএনপি জামায়াতসহ কিছু রাজনৈতিক দলের নেতারা সমালোচনা করে যাচ্ছেন। কারণ এই সব নেতারা ভেবেছিলেন করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশের মানুষ মরে রাস্তায় পড়ে থাকবে। কিন্তু হয়েছে তার উল্টো চিত্র। তাই তারা হতাশাগ্রস্থ হয়ে এখন আবল তাবল বকছে।”
বুধবার (১৩ নভেম্বর) আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে শেখ রাসেল শিশু কিশোর জাতীয় পরিষদ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, “দেশের সকল নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে, হচ্ছে এবং আগামীতেও সকল নির্বাচন সুষ্ঠভাবে অনুষ্ঠিত হবে।”
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রেসক্লাবের সামনে দাড়িয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বিষেধাগার না করে নিজে দলের বর্তমান অবস্থার কথা চিন্তা করুন। নিজ দলে ঐক্য-শৃঙ্খলা-সাংগঠনিক ভিত্তি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করুন।”
দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশ সফল। যা সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার দূরদর্শীপূর্ণ রাজনৈতিক নেতৃত্বের গুণাবলীর কারণে, যুক্ত করেন তিনি।
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন নিয়ে আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, “বঙ্গবন্ধুর দেশে ফেরার মধ্যদিয়ে স্বাধীন সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তিন স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে না এলে স্বাধীনতা কতটা টেকসই হত। স্বাধীন সার্বভৌত্ব কতটা টিকে ঠাকত তা নিয়ে আমার সন্দে আছে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বাস ঘাতকরা যেভাবে নবাব সিরাজ উদ দৌলাকে হত্যা করেছে তার জন্য আমরা দুঃখিত। কিন্তু তিনি বাঙ্গালি ছিলেন। তার ভাষা ছিলো ফারসি। আর বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাঙ্গালি, বাংলা ছিলো তার ভাষা। তাই বাঙ্গালি জাতিকে উজ্জীবিত করতে পেরেছিলেন। যা অন্য কোনো নেতার পক্ষে সম্ভব হয়নি। তার হাত ধরেই বাঙ্গালি স্বাধীনতা পেয়েছে। তাই তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি।”
মন্ত্রী চলমান পৌরসভার নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে। প্রথম ধাপের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জয় পেয়েছে তিনটিতে। আর আপনাদের বিদ্রোহী প্রার্থী পেয়েছে দুইটিতে। এ বাস্তবতায় বলতে হচ্ছে নির্বাচন নিয়ে বিএনপির নেতাদের বক্তব্য হচ্ছে নাচতে নাচতে না জানলে উঠান বাকার মত।”