ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান নতুন আরেকটি ভূগর্ভস্থ ক্ষেপণাস্ত্র শহর উন্মোচন করার পর দখলদার ইসরাইলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ইসরাইলি গণমাধ্যম ‘ওয়ালানিউজ’ ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র শহর উন্মোচনের খবর ও ভিডিও প্রকাশ করার পর ইসরাইলিদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
খবরের নিচে ইসরাইলিদের নানা মন্তব্য থেকেও এটা স্পষ্ট। ইরানের বার্তাসংস্থা তাসনিমনিউজ এ সংক্রান্ত খবরে ইসরাইলিদের নানা মন্তব্যের অনুবাদ তুলে ধরেছে। একজন পাঠক লিখেছেন, “ইসরাইলের বিরুদ্ধে এটা ইরানের বড় সাফল্য। আমাদের ভূখণ্ড খুব বড় নয়। চারদিক থেকে যখন বৃষ্টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র আসতে থাকবে। তখন আমাদের আর কোনো উপায় থাকবে না।”
অনেক পাঠকই ইসরাইলি নেতাদের সমালোচনা করে ইরানের এই খবরের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। একজন লিখেছেন, “হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে ৩৩ দিনের যুদ্ধের সময় ইসরাইলের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিপি লিভনির মন্তব্য ছিল তারা কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হিজবুল্লাহর সব দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করে ফেলবে। কিন্তু শেষে কী হয়েছিল? আমরা তিন সপ্তাহ ধরে দেখেছি আমাদের ওপর হাজার হাজার ক্ষেপণাস্ত্র এসে পড়েছে।হাইফাতেও ক্ষেপণাস্ত্র এসে পড়েছে। আমরা সব সময় নিজেদেরকে বড় করে দেখেছি। এটাই আমাদের বিপদ।”
ওয়ালানিউজ-এর এ সংক্রান্ত খবরে নিচে এ ধরণের বহু মন্তব্য করেছেন ইসরাইলি পাঠকেরা। বেশিরভাগ মন্তব্যেই তাদের ভয় ও আতঙ্ক ফুটে উঠেছে। গত শুক্রবার ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি পারস্য উপসাগরের উপকূলে একটি ভূগর্ভস্থ ক্ষেপণাস্ত্র শহর উন্মোচন করেছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আইআরজিসি’র প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি বলেন, “আঞ্চলিক অখণ্ডতা, দেশের স্বাধীনতা এবং ইসলামী বিপ্লবের সাফল্যকে ধরে রাখাই আমাদের সামরিক কর্মসূচির উদ্দেশ্য। আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের শত্রুরা যুক্তির চেয়ে শক্তির ভাষাকে বেশি গুরুত্ব দেয়। তাই, তাদের আধিপত্যবাদী চক্রান্তের বিরুদ্ধে আমাদের আক্রমণাত্মক এবং প্রতিরক্ষামূলক সামরিক শক্তি বৃদ্ধি ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।”
সূত্র: পার্সটুডে