spot_img

হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ পানি পর্যবেক্ষণ শুরু

অবশ্যই পরুন

পাবনা জেলার ঈশ্বরদী এলাকায় পদ্মা নদীর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে বাংলাদেশ ভারত গঙ্গা চুক্তি অনুযায়ী পানিপ্রবাহ পর্যবেক্ষণ শুরু হয়েছে।

শনিবার (০২ জানুয়ারি) সকালে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানি পরিমাপক হাবিবুর রহমান জানান, সকালে পানির উচ্চতা রয়েছে ৬ দশমিক ২১ সেন্টিমিটার। প্রতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে পানির প্রবাহ পরিমাপ শুরুর কথা থাকলেও শুক্রবার হওয়ায় এ বছর এই কার্যক্রম এক দিন পিছিয়ে শনিবার করা হয়েছে।

তবে ইতিমধ্যেই দুই সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধি দল পাবনায় (বাংলাদেশে) এসেছে। বাংলাদেশের ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল ভারতে পৌঁছেছে।

এ ব্যাপারে পাবনা হাইড্রোলজি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা রইচ উদ্দিন বলেন, পদ্মার পানি প্রবাহ পর্যবেক্ষণের জন্য দুই সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধি দল শুক্রবার বাংলাদেশে পৌঁছায়। তারা শনিবার থেকে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টের ২ হাজার ৫০০ ফুট উজানে পানিপ্রবাহ পর্যবেক্ষণ শুরু করবে।

তবে আনুষ্ঠানিকভাবে পানি পর্যবেক্ষণ শুরু হলে প্রকৃত হিসাব পাওয়া যাবে বলে জানান রইচ উদ্দিন। অপরদিকে নদী কমিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে এম সাইফুদ্দিনের নেতৃত্বে বাংলাদেশের ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল ভারতে গেছেন। তারা ফারাক্কার দুটি পয়েন্টে গঙ্গার পানি প্রবাহ পর্যবেক্ষণ করবে।

১৯৯৬ সালে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের গঙ্গা পানি বণ্টন চুক্তি সই হয়। চুক্তি অনুযায়ী পানির ন্যায্য হিস্যা প্রাপ্তির নিশ্চয়তায় প্রতিবছর ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত দুই দেশের প্রতিনিধিদল গঙ্গা ও পদ্মার পানিপ্রবাহ পর্যবেক্ষণ করে।

নদী কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর ১ জানুয়ারি থেকে প্রথম ১০ দিনে ফারাক্কা পয়েন্টে গঙ্গায় ১ লাখ ৬১ হাজার কিউসেক পানি ছিল। এর মধ্যে বাংলাদেশের হিস্যা ছিল ৬০ হাজার ৬১ কিউসেক এবং ভারতের ৪০ হাজার কিউসেক পানি। একই সময় হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানির পরিমাণ ছিল ১ লাখ ২ হাজার ৫৭৪ কিউসেক।

এ বছর পদ্মা নদীর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পর্যাপ্ত পানির সরবরাহ রয়েছে বলে জানিয়েছে হাইড্রোলজি বিভাগ। শুক্রবার হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে প্রায় ৮৮ হাজার কিউসেক পানি ছিল। রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় প্রকৌশল দফতর সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক বছরে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানির প্রবাহের চেয়ে এবার মাত্রা বেশি রয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

মুজিববর্ষের নামে ভাস্কর্য-ম্যুরালে হাজার হাজার কোটি টাকা নষ্ট: শফিকুল আলম

মুজিববর্ষের নামে কত টাকা অপচয় করা হয়েছে তা বর্তমান সরকার খতিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ