ম্যাচ-পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে অপ্রাসঙ্গিক অনেক প্রশ্নই আসে। বিশেষ করে ক্লাব ছাড়ার অহেতুক প্রশ্নে একটু বেশিই তিতিবিরক্ত হতে দেখা যায় পেপ গার্দিওলাকে। খানিক মেজাজ হারালেও শান্ত ও সৌম্য থাকার চেষ্টা করে ম্যানচেস্টার সিটি ম্যানেজার জবাব দেন—আপাতত ওয়েস্ট হ্যাম ম্যাচের দিকেই নজর তার।
গতকাল পেপ গার্দিওলা যা বোঝাতে চেয়েছিলেন, আজ তা কড়ায় গণ্ডায় বুঝিয়ে দিলেন শিষ্য আর্লিং হলান্ড ও তিজানী রেইন্ডার্সরা। দারুণ সব কীর্তি গড়ে অতিথি ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে সিটিকে ৩–০ গোলে জিতিয়েছেন নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার। এ জয়ে প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষস্থানে উঠে গেছে সিটিজেনরা।
২০২৪–২৫ প্রিমিয়ার লিগে তৃতীয়স্থান নির্ধারণকারীরা এবার ১৭তম রাউন্ডেই প্রথমস্থান দখল করেছে। ওয়েস্ট হ্যাম থেকে পূর্ণ তিন পয়েন্ট তুলে নেওয়া দলটির মোট পয়েন্ট ৩৭। এক পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আর্সেনাল। মিকেল আরতেতার দল অবশ্য একটি ম্যাচ কম খেলেছে।
ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে নয়টায় শুরু হওয়া ম্যাচে ম্যানসিটির হয়ে দুটি গোল করেন হলান্ড। তাঁর প্রথম গোলটি আসে পঞ্চম মিনিটে, দ্বিতীয়টি ৬৯ মিনিটে। সিটির হয়ে অপর গোলটি করেন নেদারল্যান্ডসের অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার রেইন্ডার্স।
ম্যাচের মাত্র পাঁচ মিনিটে গোল করে পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে ছুঁয়ে ফেলেন হলান্ড। আল নাসর তারকা রোনালদো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে দুই দফায় করেন ১০৩ গোল। ‘সিআর সেভেন’-এর চেয়ে ১২২ ম্যাচ কম খেলেই তাঁকে ছাড়িয়ে গেলেন হালান্ড।
এদিন সিটির দ্বিতীয় গোলে রেইন্ডার্সকে সহায়তা করে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে মোট ২০০ গোলে অবদান রাখলেন হলান্ড। মাত্র ১৬৫ ম্যাচে তাঁর ১৬৬ গোল ও ৩৫টি অ্যাসিস্টের অবিশ্বাস্য পরিসংখ্যান দেখে যে কারও চোখ কপালে উঠবে।
ঘরের মাঠে আধিপত্য ধরে রেখেই খেলেছে সিটি। ৬৬ শতাংশ বল দখলে ছিল স্বাগতিকদের। তারা মোট ১৭টি শট নেয়, যার মধ্যে ৮টি ছিল লক্ষ্যে। এর মধ্যে সাতটি ছিল বড় সুযোগ, আরও তিনটি তারা মিস করে।
ওয়েস্ট হ্যামকে একেবারেই অচেনা লেগেছে। যদিও পুরো আসরজুড়েই ইংল্যান্ডভিত্তিক দলটি বেশ ছন্দহীন। এখন পর্যন্ত ১৭টি ম্যাচ খেলে ১০টিতেই হেরেছে নুনো এসপিরিতো সান্তোর দল। গোলের লক্ষ্যে তাদের শট ছিল মাত্র তিনটি।

