সারা বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। আগামী বছরের মার্চে মাঠে গড়াবে দশ দলের মারকাটারি এই টুর্নামেন্টের ১৯তম আসর। আসন্ন আসরকে সামনে রেখে আগামী ১৬ ডিসেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত হবে খেলোয়াড়দের মিনি নিলাম।
ভারতের সাবেক ব্যাটিং কোচ সঞ্জয় বাঙ্গার আসন্ন আইপিএল নিলামের আগে এমন কয়েকজন তারকা খেলোয়াড়ের নাম চিহ্নিত করেছেন, যাদের নিতে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতা দেখা যেতে পারে। এর মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার অভিজ্ঞ ব্যাটার ডেভিড মিলার অন্যতম আকর্ষণীয় নাম হিসেবে উঠে এসেছেন।
৫৩ বছর বয়সী বাঙ্গারের মতে, মিলারকে পেতে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে। সাদা বলের ক্রিকেটে ডেথ ওভারে ফিনিশার হিসেবে এই বাঁহাতি ব্যাটারের দক্ষতা অতুলনীয়। বিশেষ করে যেসব দল ইনিংসের শেষ দিকে ম্যাচ ক্লোজ করতে হিমশিম খায়, তাদের জন্য তিনি বড় সম্পদ হতে পারেন।
কঠিন চাপের মুহূর্তে মিলারের বিশাল অভিজ্ঞতা আইপিএলের মিনি নিলামের বাজারে তার চাহিদা বাড়িয়ে দিচ্ছে বলে মত বাঙ্গারের। এই বাঁহাতি ব্যাটার এবারের নিলামের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড়দের একজন হতে পারে বলে মনে করছেন ভারতের হয়ে ১২ টেস্ট ও ১৫ ওয়ানডে ম্যাচ খেলা সাবেক এই ব্যাটিং অলরাউন্ডার।
জিও হটস্টারে কথা বলতে গিয়ে বাঙ্গার বলেন, ‘ডেভিড মিলার সম্ভবত এই নিলামের শীর্ষ তিন সবচেয়ে দামি খেলোয়াড়ের একজন হবেন। অনেক দলেরই তার মতো ফিনিশারের প্রয়োজন। উদাহরণ হিসেবে গুজরাট টাইটান্স তার অভিজ্ঞতা থেকে উপকৃত হতে পারে, আবার আন্দ্রে রাসেলের অবসরের পর বড় অঙ্কের পার্স হাতে থাকা কলকাতা নাইট রাইডার্সও তাকে টার্গেট করতে পারে।’
মিলারের পাশাপাশি বাঙ্গার ইংল্যান্ডের জনি বেয়ারস্টোর কথাও উল্লেখ করেন। তার বহুমুখিতা এবং সম্পূর্ণ প্রাপ্যতা (অ্যাভেইলেবিলিটি) নিলামে তার মূল্য আরও বাড়াতে পারে বলে মনে করেন তিনি। টপ-অর্ডার ব্যাটার হিসেবে খেলার পাশাপাশি উইকেটকিপার হিসেবে তার খেলার সক্ষমতা দলগুলোকে বাড়তি সুবিধা এনে দিতে পারে বলে মনে করেন বাঙ্গার।
বাঙ্গার আরও বলেন, ‘জনি বেয়ারস্টো উইকেটকিপার ও টপ-অর্ডার ব্যাটার—দুই দিক থেকেই বড় মূল্য যোগ করতে পারে। তার প্রমাণিত সামর্থ্য রয়েছে এবং বর্তমানে তিনি শুধুই টি-টোয়েন্টিতে মনোযোগ দিচ্ছেন বলে পুরো মৌসুমে তার প্রাপ্যতাও নিশ্চিত। এতে করে সে আরও শক্তিশালী বিকল্প হয়ে উঠছে। দিল্লি ক্যাপিটালস ও কলকাতা নাইট রাইডার্স তাকে নিয়ে ভাবতে পারে—দিল্লির টপ-অর্ডারে জেক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ককে ছাড়ার পর বিকল্প দরকার, আর কেকেআরের ক্ষেত্রেও কুইন্টন ডি কক ও রহমানউল্লাহ গুরবাজের বাইরে বিকল্প সীমিত।’

