অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে দুর্দান্ত সূচনা করেছে বাংলাদেশ। নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের দেয়া ২৮৪ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করে বাংলাদেশ ৩ উইকেটে জয় তুলে নিয়েছে। ওপেনার জাওয়াদ আবরারের ৯৬ ও রিফাত বেগের ৬২ রানের দায়িত্বশীল ইনিংসে ভর করে যুব টাইগাররা ৭ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে।
২৮৪ রানের বিশাল টার্গেটে খেলতে নেমে বাংলাদেশের দুই ওপেনার জাওয়াদ আবরার এবং রিফাত বেগ দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন। তারা উদ্বোধনী জুটিতেই ১৫১ রানের বড় জুটি গড়েন। একসময় মনে হচ্ছিল বাংলাদেশ সহজেই ১০ উইকেট হাতে রেখে জয় পাবে। কিন্তু রুহউল্লাহ আরবের শিকার হয়ে দ্রুত রিফাত ও জাওয়াদের উইকেট হারানোয় সেই সম্ভাবনা আর থাকেনি।
এরপর হাল ধরেন অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম এবং কালাম সিদ্দিকী। তৃতীয় উইকেটে এই জুটি ৬৬ রান যোগ করে জয়ের ভিত মজবুত করেন। কালাম সিদ্দিকী ২৯ রান করে খান আহমদজাইয়ের বলে আউট হন। আজিজুল হাকিম তামিমও বেশিক্ষণ টেকেননি, খাতির স্ট্যানিকজাইয়ের শিকার হয়ে তিনি বিদায় নেন।
ম্যাচের শেষদিকে এক ওভারে দুটি রান-আউটে বাংলাদেশের জয় নিয়ে কিছুটা শঙ্কা তৈরি হয়। ২ রান করা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ এবং শূন্য রানে সামিউন বশির রাতুল রান-আউটের শিকার হন। দলের যখন মাত্র ১ রান দরকার, তখন ১৩ রান করা শেখ পারভেজ জীবনও আউট হয়ে যান।
তবে শেষ পর্যন্ত রিজান হোসেন ঠান্ডা মাথায় ব্যাট করে দলের জয় নিশ্চিত করেন। তিনি ১৩ বলে অপরাজিত ১৭ রান করে মাঠ ছাড়েন। শেষ চার ওভারে বাংলাদেশের দরকার ছিল মাত্র ২১ রান।
এর আগে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমি গ্রাউন্ডে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে আফগানিস্তানের শুরুটা ছিল কিছুটা নড়বড়ে। সাদ ইসলাম রাজিন ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই বাংলাদেশকে প্রথম উইকেট এনে দেন। তবে দ্বিতীয় উইকেটে ফায়সাল ও ওসমান ৬৬ রানের জুটি গড়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন। ৫০ বলে ৩৪ রান করা ওসমান বাঁহাতি স্পিনার রাতুলের বলে বোল্ড হয়ে ফিরলে এই জুটি ভাঙে।
এরপর উজাইরউল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান ফায়সাল। তিনি ৫৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন এবং দ্রুত গতিতে রান তুলে ৯১ বলে সেঞ্চুরি লাভ করেন। তবে সেঞ্চুরি করার পরই ইকবাল হোসেন ইমনের বলে আউট হন ফায়সাল। ৮টি চার ও ৪টি ছক্কায় ১০৩ রান করেন তিনি। উজাইরউল্লাহ ৪৪ রানে আউট হন শাহরিয়ার আহমেদের বলে।
শেষদিকে আজিজুল্লাহ মিয়াখিল (৩৮) ও আব্দুল আজিজের (২৬ অপরাজিত) ক্যামিওতে আফগানিস্তান ২৮৩ রানের সম্মানজনক পুঁজি সংগ্রহ করে। বাংলাদেশের হয়ে শাহরিয়ার আহমেদ ও ইকবাল হোসেন ইমন উভয়েই দুটি করে উইকেট শিকার করেন।

