spot_img

যৌন নিপীড়ক এপস্টেইনের সঙ্গে ট্রাম্পের আরও ৩ ছবি প্রকাশ নিয়ে নতুন বিতর্ক

অবশ্যই পরুন

কুখ্যাত যৌন নিপীড়ক প্রয়াত জেফরি এপস্টেইনের মালিকানাধীন বাড়ি থেকে পাওয়া আরও ১৯টি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এসব ছবির মধ্যে তিনটিতে দেখা গেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে, যা নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

যৌন অপরাধে দণ্ডিত এপস্টেইন–সংক্রান্ত নথি প্রকাশের নির্ধারিত সময়সীমা ঘনিয়ে আসার প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের হাউস ওভারসাইট কমিটির ডেমোক্র্যাট সদস্যরা এই নতুন ছবিগুলো প্রকাশ করেন। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, এপস্টেইনের বিভিন্ন সম্পত্তি থেকে উদ্ধার হওয়া ৯৫ হাজারের বেশি ছবি বর্তমানে তারা পর্যালোচনা করছেন।

প্রকাশিত তিনটি ছবির একটি সাদা–কালো। এতে ট্রাম্পকে একাধিক নারীর সঙ্গে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়, তবে নারীদের মুখ আড়াল করা। দ্বিতীয় ছবিতে ট্রাম্পকে এপস্টেইনের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। তৃতীয় ছবিতে ট্রাম্প একজন নারীর পাশে বসে আছেন, ছবিটি ঝাপসা এবং ওই নারীর মুখও আড়াল করা। সেখানে ট্রাম্পের লাল টাই ঢিলেঢালা অবস্থায় ঝুলতে দেখা যায়।

ছবিগুলো ঠিক কবে ও কোথায় তোলা হয়েছিল, সে বিষয়ে কোনো স্পষ্ট তথ্য জানা যায়নি। নতুন ছবি প্রকাশের পর হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘এপস্টেইনকে সবাই চিনতেন এবং পাম বিচ এলাকায় তার অবাধ যাতায়াত ছিল। তার ভাষায়, বহু মানুষের সঙ্গেই এপস্টেইনের ছবি রয়েছে, তাই এটিকে বড় কোনো বিষয় হিসেবে দেখার কারণ নেই।’

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র অ্যাবিগেইল জ্যাকসন এ বিষয়ে বলেন, ‘এপস্টেইনের ভুক্তভোগীদের সহায়তায় ট্রাম্প প্রশাসন ডেমোক্র্যাটদের তুলনায় অনেক বেশি কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, সংবাদমাধ্যমে ডেমোক্র্যাটদের বক্তব্যই বারবার তুলে ধরা হচ্ছে। বরং প্রশ্ন হওয়া উচিত- এপস্টেইন দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরও কেন ডেমোক্র্যাটরা তার সঙ্গে সময় কাটাতে আগ্রহী ছিলেন।’

কয়েক মাস ধরেই এপস্টেইন কেলেঙ্কারি ট্রাম্পের জন্য রাজনৈতিক অস্বস্তির কারণ হয়ে রয়েছে। এই জটিলতার পেছনে ট্রাম্পের নিজের ভূমিকাও রয়েছে, কারণ একসময় তিনিই এপস্টেইনকে ঘিরে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রতত্ত্ব সমর্থকদের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন।

২০১৯ সালে একটি কারাগার কক্ষ থেকে এপস্টেইনের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে কর্তৃপক্ষ জানায়, তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন। গত জুলাইয়ে মার্কিন বিচার বিভাগ জানায়, এ ঘটনায় তৃতীয় কোনো পক্ষ জড়িত ছিল এমন তদন্ত শুরু করার মতো পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বিচার বিভাগের বক্তব্য অনুযায়ী, কোনো ‘ক্লায়েন্ট তালিকা’, যৌনকর্মে নারীদের পাচারে জড়িত ব্যক্তিদের নাম কিংবা কাউকে ব্ল্যাকমেল করার প্রমাণও তারা খুঁজে পায়নি।

গত শতকের নব্বইয়ের দশক থেকে এ শতকের শুরুর কয়েক বছর পর্যন্ত এপস্টেইনের সঙ্গে ট্রাম্পের বন্ধুত্ব ছিল। ট্রাম্পের দাবি, শিশু যৌন নিপীড়নের মামলায় এপস্টেইন দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগেই তাদের সম্পর্কের ইতি ঘটে। তিনি বারবার বলেছেন, অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের যৌন নিপীড়ন বা পাচারের বিষয়ে তিনি কিছুই জানতেন না।

সূত্র: রয়টার্স

সর্বশেষ সংবাদ

যুক্তরাজ্যে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতসহ ৯০ লাখ মানুষ

যুক্তরাজ্যে নাগরিকত্ব বাতিলের ‘চরম ও গোপন’ ক্ষমতা দেশটির লাখো মুসলিম নাগরিককে গুরুতর ঝুঁকির মুখে ফেলছে। এই ক্ষমতার ফলে বাংলাদেশি,...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ