ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদো নরওয়ের রাজধানী অসলোতে উপস্থিত থেকেও নোবেল শান্তি পুরস্কার গ্রহণের জন্য নির্ধারিত অনুষ্ঠানে যাননি। নরওয়েজিয়ান নোবেল ইনস্টিটিউটের পরিচালক রয়টার্সকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
৫৮ বছর বয়সী এই নেতার বুধবার নরওয়ের রাজপরিবার ও আর্জেন্টিনা এবং ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্টের উপস্থিতিতে পুরস্কার গ্রহণের কথা ছিল। তবে তাঁর অনুপস্থিতির কারণে পুরস্কারটি গ্রহণ করেন তাঁর মেয়ে আনা কোরিনা সোসা মাচাদো। এর আগে ইনস্টিটিউট তাঁর অবস্থান সম্পর্কে অনিশ্চয়তা প্রকাশ করায় সংবাদ সম্মেলনও বাতিল করা হয়।
গত অক্টোবরে মাচাদো তাঁর ভূমিকা এবং গণতন্ত্রের প্রতি ‘অটল’ সমর্থনের জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হন।
ভেন্তে ভেনেজুয়েলা দলের এই নেতা ডানপন্থী কঠোর অবস্থানে বিশ্বাসী। তিনি এই পুরস্কারের একটি অংশ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উৎসর্গ করেছেন, যিনি নিজেও পুরস্কার না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন।
মাচাদো ভেনেজুয়েলায় আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এবং যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হস্তক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন, যা সমালোচকদের মতে লাতিন আমেরিকার অন্ধকার অতীত ফিরিয়ে আনতে পারে। তিনি গাজায় চলমান গণহত্যার মধ্যেই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনালাপে ইসরায়েলের পক্ষে সমর্থন জানান।
এক দশকের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও মাচাদো অসলোতে উপস্থিত ছিলেন বলে নোবেল ইনস্টিটিউট নিশ্চিত করেছে। তিনি এক বছরের বেশি সময় ধরে আত্মগোপনে আছেন।
উল্লেখ্য, ভেনেজুয়েলা সরকার ২০২৪ সালের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মাচাদোর প্রার্থিতা বাতিল করে।

