এক বৃদ্ধ নারীর কাছ থেকে এক কোটি ১৭ লাখ টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে বাবা ও ভাইসহ গ্রেপ্তার হলেন মুম্বাইয়ের বহুল পরিচিত টেলিভিশন অভিনেত্রী মাসুমি মেভাওয়ালা। মুম্বাইয়ের বাঙ্গুর নগর পুলিশ মাসুমিসহ তার বাবা রাজেশ মেভাওয়ালা ও ভাই ভার্গব মেভাওয়ালাকে গ্রেপ্তার করেছে।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বলিউড হাঙ্গামার প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মেভাওয়ালা পরিবারের বিরুদ্ধে ৬০ বছর বয়সী এক নারী ১ কোটি ১৭ লাখ অর্থ প্রতারণার অভিযোগ জানিয়েছেন। বিনিয়োগ প্রকল্পের মাধ্যমে এই প্রতারণা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগে।
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, একটি কথিত ব্যক্তিগত খাদ্য ব্যবসা থেকে দৈনিক লাভের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দুর্বল, বয়স্ক নারীদের প্রলুব্ধ করা হয়েছিল।
২০২২ সালে আর্থার রোড কারাগারে তার কারাবন্দী স্বামীর সঙ্গে দেখা করার সময় অভিযোগকারীর স্বামী রাজেশ মেভাওয়ালার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। পরবর্তীতে অভিনেত্রী মাসুমি ও তার ভাই খাদ্য ব্যবসায় বিনিয়োগে উচ্চ মুনাফার কথা বলেন। এই প্রলোভনে প্রথমে ২৫ লাখ অর্থ নেন। মেভাওয়ালা পরিবার বিশ্বাস তৈরির জন্য ওই নারীকে দৈনিক ২০০০ টাকা করে অর্থ দেন। এভাবেই পরবর্তীতে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেন তারা।
পুলিশ জানিয়েছে, পরিবারটি খুবই সাধারণ একটি কৌশল অবলম্বন করেছিল। ফলে মোট বিনিয়োগ ১ কোটি ১৭ লাখে পৌঁছায়। তারপর অভিযুক্তরা নিখোঁজ হয় এবং তাদের যোগাযোগের ফোন নম্বর বন্ধ করে দেয়। ২০২৩ সালে রাজেশের জামিন হয় এবং পরের বছর ভুক্তভোগীর অর্থ পরিশোধের জন্য চুক্তি হয়। কিন্তু এরপরও কোনো অর্থ দিতে না পারায় অভিনেত্রীদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন ভুক্তভোগী নারী।
গত ২৮ নভেম্বর পুলিশ কারিগারি নজরদারি এবং মানবিক গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করে মেভাওয়ালা পরিবারের সদস্যদের লোয়ার পারেলের বাসভবন ট্র্যাক করে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আমানতকারীদের স্বার্থ সুরক্ষা আইন, ১৯৯৯ এবং ভারতীয় ন্যায় সংহিতার বিধান অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে মামলায় হয়। এরপর বাবা-ভাইসহ গ্রেপ্তার হলেন অভিনেত্রী মাসুমি

