মালয়েশিয়া সরকার কলিং ভিসায় বাংলাদেশি কর্মী পাঠানোর জন্য ২৫টি রিক্রুটিং এজেন্সিকে অনুমোদন দিয়েছে— সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এমন দাবিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও গুজব বলে জানিয়েছে দেশটির কুয়ালালামপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন।
একই তথ্য নিশ্চিত করেছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ও। হাইকমিশন সতর্ক করে বলেছে, এ ধরনের গুজব সাধারণ কর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে দালালচক্রের জন্য সুযোগ তৈরি করছে।
গত সোমবার ফেসবুক পেজ, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপসহ বিভিন্ন অননুমোদিত অনলাইন প্ল্যাটফর্মে একটি ভুয়া নোটিশ ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে বলা হয়, মালয়েশিয়া সরকার কলিং ভিসার আওতায় কর্মী পাঠানোর জন্য ২৫টি এজেন্সির তালিকা প্রকাশ করেছে। তবে অনুসন্ধানে দেখা গেছে, মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় এমন কোনো নোটিশ প্রকাশ করেনি।
পরে বাংলাদেশ হাইকমিশন এক সতর্কতামূলক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, রিক্রুটিং এজেন্সি অনুমোদনসংক্রান্ত কোনো তথ্য মালয়েশিয়া সরকার বা বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাছে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি। তাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত তালিকাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর।
হাইকমিশন বলছে, ‘কোনো অনুমোদন দেওয়া হলে তা দুই দেশের সরকারি চ্যানেলের মাধ্যমেই জানানো হবে। যাচাই-বাছাইহীন গুজব ছড়িয়ে সাধারণ কর্মীদের বিভ্রান্ত করাটা দালালচক্রের পুরোনো কৌশল।’
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ও একই সতর্কতা দিয়ে জানিয়েছে, ভুয়া তথ্যের ভিত্তিতে টাকা লেনদেন, চুক্তি করা বা পাসপোর্ট জমা দেয়ার মতো ভুল সিদ্ধান্ত নিলে বড় ধরনের প্রতারণার শিকার হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের গুজব শ্রমবাজারে অস্থিরতা তৈরি করে এবং অনিশ্চয়তার সুযোগে দালালরা প্রার্থীদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালায়। হাইকমিশন ও মন্ত্রণালয় জানায়, মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো সংক্রান্ত সঠিক তথ্য জানতে কেবল সরকারিভাবে প্রকাশিত ঘোষণা অনুসরণ করাই নিরাপদ।

