spot_img

বিশ্ব শান্তির জন্য যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বড় হুমকি: ইরান

অবশ্যই পরুন

যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা সামরিক পদক্ষেপ, চাপ প্রয়োগের নীতি এবং আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি আচরণ এখন বৈশ্বিক শান্তির জন্য সবচেয়ে বড় হুমকিতে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘেয়ি। সোমবার (১ ডিসেম্বর) তেহরানে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

ভেনেজুয়েলার ওপর ওয়াশিংটন প্রকাশ্যে নগ্ন শক্তি প্রয়োগ করছে বলেও মন্তব্য করেন বাঘেয়ি। তিনি বলেন, ‘ভেনেজুয়েলার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের একতরফাভাবে ‘নো-ফ্লাই জোন’ আরোপ আন্তর্জাতিক কূটনীতির ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা।’

অভিযোগ করে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের আকাশসীমাকে বন্ধ ঘোষণা করে আন্তর্জাতিক আইনকে প্রকাশ্যে লঙ্ঘন করেছে। বাস্তবতা হলো- যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার সবচেয়ে বড় হুমকিতে পরিণত হয়েছে।’

বাঘেয়ি উদাহরণ টেনে আরও বলেন, ‘আফ্রিকার দেশগুলোকে জি–২০তে যোগ দিতে বাধা দেয়ার হুমকি এবং ইসরায়েলের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্তরাষ্ট্রের নিঃশর্ত সমর্থনও প্রমাণ করে যে ওয়াশিংটন আন্তর্জাতিক নিয়ম–শৃঙ্খলা মানতে আগ্রহী নয়।’

তিনি দাবি করেন, এমন আচরণ বৈশ্বিক ব্যবস্থায় বিপজ্জনক নজির তৈরি করছে, যা অনুসরণ করলে অন্য রাষ্ট্রগুলোও একই ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারে। আর এমনটি হলে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি জাতিকে বিপন্ন করে তুলবে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এ ধরনের মার্কিন নীতিকে আন্তর্জাতিক শান্তির পরিপন্থি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া উচিত বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক ভিসা ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করে বাঘেয়ি বলেন, ‘এসব সিদ্ধান্ত প্রাতিষ্ঠানিক বর্ণবাদ ও বৈষম্যের প্রতিফলন। ১৮টি দেশের নাগরিকদের পাশাপাশি ইরানিদেরও মার্কিন অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক স্বার্থে জিম্মি করা হচ্ছে।’

ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সম্পর্কে তিনি জানান, তেহরান কেবলমাত্র পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তিতে নিশ্চিত করা শান্তিপূর্ণ পরমাণু শক্তির বৈধ অধিকারই ব্যবহার করছে। কিন্তু কিছু পক্ষ ইরানের এই অধিকারকে চাপের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে। পারস্পরিক বৈধ অধিকারকে স্বীকৃতি না দিলে সত্যিকারের আলোচনা শুরু হতে পারে না।

২০১৫ সালে পরমাণু চুক্তিতে ইউরোপীয় তিন স্বাক্ষরকারী—ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি সম্পর্কে তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবের কারণে সংঘাতমূলক সমাধান প্রবর্তন করে কূটনীতি বাধাগ্রস্ত করছে। তারা স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সক্ষমতা বা ইচ্ছা কোনোটিই দেখাচ্ছে না।’

এ সময় যুক্তরাষ্ট্রকে বৈশ্বিক পরমাণু অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করেন বাঘেয়ি। বলেন, ‘ইসরায়েল ব্যাপক পরিমাণ গণবিধ্বংসী অস্ত্র মজুত রেখে অপরাধ করে যাচ্ছে, অথচ আন্তর্জাতিক মহল তা উপেক্ষা করছে।’ এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক পরীক্ষা পুনরায় শুরু করার ইঙ্গিত এবং মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী কর্মকাণ্ডও বৈশ্বিক নিরাপত্তাকে আরও বিপন্ন করছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

সূত্র: তাসনিম

সর্বশেষ সংবাদ

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয় বাংলাদেশের

আয়ারল্যান্ডকে ৮ ইউকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে তিন ম্যাসের সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ডের দেওয়া ১১৭ রানের লক্ষ্যে পৌঁছাতে...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ