আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে হোঁচট খেলেও দ্বিতীয় ম্যাচে দারুণ জয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ দল। এখন সামনে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ—যেখানে জয়ের মাধ্যমে যেমন সিরিজ নিজেদের করার সুযোগ রয়েছে, তেমনি আসন্ন বিশ্বকাপের আগে শেষবারের মতো প্রস্তুতি যাচাইয়েরও বড় মঞ্চ এটি।
২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মাঠে গড়াবে আগামী ফেব্রুয়ারিতে। এর আগে আর কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা হবে না বাংলাদেশের। আয়ারল্যান্ড সিরিজ শেষে কিছুদিন বিশ্রামের পর বিপিএলে নেমে যাবেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। বিপিএল শেষেই উড়াল দিতে হবে বিশ্বকাপের পথে, ধরতে হবে ভারতের বিমান। বিশ্বকাপের আগে নিজেদের সব পরীক্ষা নিরীক্ষা, সব ধরনের প্রস্তুতি কিংবা সর্বশেষ সব কিছুর শেষ সুযোগ তাই এই ম্যাচই।
প্রথম দুই ম্যাচে তেমন অদলবদল না করে সেরা একাদশও খেলিয়েছে বাংলাদেশ। তৃতীয় ম্যাচ সিরিজ নির্ধারণী হওয়ার কারণে এখানেও পরীক্ষানিরীক্ষার সম্ভাবনা কম। তবে এখনও কোনো ম্যাচ না পাওয়া মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে সুযোগ দিয়ে দেখতে পারে টিম ম্যানেজমেন্ট। তিনি একাদশে ঢুকলে বাইরে চলে যেতে হতে পারে নুরুল হাসান সোহানকে। এছাড়া নাসুম আহমেদকে বসিয়ে একাদশে ফেরানো হতে পারে রিশাদ হোসেনকে। বাকি জায়গায় আগের ম্যাচে খেলা ক্রিকেটারদের খেলার সম্ভাবনাই বেশি।
ব্যাটিংটা বাংলাদেশ দলকে ভুগিয়েছে অনেক দিন ধরেই। চট্টগ্রামের রানপ্রসবা ব্যাটিং স্বর্গে ব্যাটিংয়ে একটু পা হড়কালেই ম্যাচ হাতছাড়া হয়ে যাওয়া প্রায় নিশ্চিত। আগে হোক বা পরে ব্যাট, ব্যাটিংয়ে বড় রান তাই চাইই চাই বাংলাদেশ দলের। সিরিজের প্রথম ম্যাচে না পারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটাররা দারুণ দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে নজর কেড়েছেন।

