পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বড় বোন নোরিন নিয়াজি সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দেশেটির সরকারের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি মনে করেন, যদি তার ভাইকে শারীরিকভাবে কোনো ক্ষতি করা হয়, তবে তা দেশটিকে চরম বিশৃঙ্খলার দিকে ঠেলে দেবে। নোরিন নিয়াজি জোর দিয়ে বলেন, ইমরান খান শতভাগ সুস্থ আছেন এবং পাকিস্তানের জনগণ তার কোনো ক্ষতি মেনে নেবে না।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি তারা ইমরানের ক্ষতি করার সাহস করবে না। যদি তারা এমন কিছু করে তাহলে দেশ বিশৃঙ্খলায় পড়বে। জনগণ তার সাথে আছে এবং তারা ইমরানকে দেখতে চায়।’
ইমরানের সমর্থকদের বিভ্রান্ত করতেই তার স্বাস্থ্য নিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে গুজব ছড়ানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন নোরিন।
কারাগারে ইমরান খানকে যেভাবে রাখা হয়েছে তারও সমালোচনা করেন নোরিন। তার দাবি, সাধারণ বন্দিদের ৪ দিনের বেশি বিচ্ছিন্ন সেলে রাখা হয় না, কিন্তু ইমরানকে গত ১ মাসের বেশি সময় ধরে ধরে এ ধরণের একাকী কারাবাসে রাখা হয়েছে। এটি তার প্রতি মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের মতো। জেল ম্যানুয়াল অনুযায়ী তাকে আলাদা করে রাখাও অপরাধ।
এসময় তিনি আরও অভিযোগ করেন, ইমরান খানের বার্তা যেন জেলের বাইরে আসতে না পারে সেজন্যই তাকে পরিবারের সাথে যোগাযোগ-বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে।
এদিকে পাকিস্তানের চিফ অফ ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন দেশটির সেনাপ্রধান আসিম মুনির। নোরিন বলেন, ‘তিনি (আসিম মুনির) নিজেকে সর্বশক্তিমান মনে করেন, কিন্তু তিনি তা নন। কারণ আমাদের ধর্মে আল্লাহ ছাড়া কেউই সর্বশক্তিমান নন।’
দেশের বিচার ব্যবস্থার প্রতি সংশয় প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘যদিও দেশে এখন আর কোনো ন্যায়বিচার নেই, তবুও আমরা ন্যায়ের জন্য লড়বো। ইনশাআল্লাহ, ইমরান খান ন্যায়বিচার পাবেন।’
স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ইমরান খানের আরেক বোন আলিমা নিয়াজি আদিয়ালা জেল সুপারিনটেনডেন্টসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন।
এর আগে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেল কর্তৃপক্ষ জানায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে কোথাও সরিয়ে নেওয়া হয়নি এবং তিনি ভালো আছেন।
উল্লেখ্য, ইমরান খান ক্ষমতা থেকে অপসারিত হওয়ার পর ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে দুর্নীতি ও সন্ত্রাসবাদের একাধিক মামলায় কারাবন্দি আছেন। তবে তার সমর্থকদের দাবি, মামলাগুলো সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশপ্রনোদিত।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

