দুরন্ত গতিতে ছুটে চলছেন লিওনেল মেসি। গোল কিংবা অ্যাসিস্ট দলকে জিতিয়েই যাচ্ছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। এবার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ইন্টার মায়ামিকে এমএলএস (মেজর লিগ সকার) প্লে অফের ফাইনালে তুললেন মেসি। তার হাত ধরেই এই প্রতিযোগিতায় প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠল মায়ামি। আর এই ম্যাচ দিয়েই ইতিহাস গড়ে তুলেছেন মেসি। এক গোল ও তিনটি অ্যাসিস্ট করে ফুটবলের ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ১৩০০ গোলে অবদানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন এই আর্জেন্টাইন তারকা।
আজ বাংলাদেশ সময় ভোর চারটায় এমএলএস কাপ প্লে-অফের ইস্টার্ন কনফারেন্স সেমিফাইনালে এফসি সিনসিনাটিকে ৪-০ গোল হারিয়েছে ইন্টার মায়ামি। ম্যাচের সবক’টি গোল-অ্যাসিস্ট এসেছে তিন আর্জেন্টাইনের সৌজন্যে। একটি গোলের সঙ্গে হ্যাটট্রিক অ্যাসিস্ট করেছেন মেসি। জোড়া গোল করেছেন আর্জেন্টাইন উইঙ্গার তাদিও আলেন্দে। ১৯ বছর বয়সী আরেক উইঙ্গার মাতেও সিলভেত্তির কাছ থেকে এসেছে একটি গোল ও অ্যাসিস্ট।
প্রতিপক্ষের মাঠে শুরুতে বল দখলে খানিকটা পিছিয়ে ছিল মায়ামি, কিন্তু সুযোগ কাজে লাগানোর দক্ষতা ছিল অসাধারণ। প্রথম ভালো সুযোগেই লিড নেয় সফরকারীরা। ১৯ মিনিটে ইন্টার মিয়ামির পাল্টা আক্রমণে থেকে বক্সে দারুণ এক ক্রস করেন সিলভেত্তি। আর মেসি মাথা ছুঁয়ে বল জালে জড়ান। এমএলএস এই মৌসুমে ৩৯ বছর বয়সী মহাতারকার এটি ৩৫তম গোল। মায়ামির হয়ে সবশেষ আট ম্যাচে ১১ গোল করলেন ছন্দের তুঙ্গে থাকা মেসি।
প্রথমার্ধের বাকি সময়ে ব্যবধান বাড়ানোর একাধিক সুযোগ তৈরি করে মায়ামি। ২৬ মিনিটে বক্সের ভেতর থেকে রদ্রিগেসের শট ঠেকান সিনসিনাটির গোলকিপার। ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় হাভিয়ার মাশ্চেরানোর দল।
দ্বিতীয়ার্ধে ৫৭ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে মায়ামি। বক্সের বাম দিক থেকে মেসির অ্যাসিস্টে সিলভেত্তি প্রথম ছোঁয়ায় দূরের পোস্টে বল পাঠান। ক্লাবের হয়ে এটি তাঁর প্রথম গোল।
এরপর ৬২ মিনিটে আলেন্দে দলের তৃতীয় গোলটি করেন। দ্রুত পাল্টা আক্রমণে মেসির নিখুঁত থ্রু-পাস ধরে আলেন্দে নিচের বাম কোণে বল পাঠান। ৭৪ মিনিটে আবারও স্কোরশিটে নাম লেখান আলেন্দে। মেসির অসধারণ এক থ্রু-পাস ধরে ডিফেন্ডারকে ঠেলে জায়গা তৈরি করে ডান দিকের পোস্টে জোরালো শটে লক্ষভেদ করেন ২৬ বছর বয়সী এই আর্জেন্টাইন উইঙ্গার। প্লে
স্বদেশী ফুটবলারের গোলে সহায়তা করে ফুটবল ইতিহাসে যৌথভাবে সর্বোচ্চ অ্যাসিস্টের মালিক হলেন এখন মেসি। মায়ামির চতুর্থ গোলের যোগানদাতা মেসির মোট অ্যাসিস্টের সংখ্যা দাড়াল ৪০৪। ফেরেঞ্চ পুসকাসের সঙ্গে সর্বোচ্চ অ্যাসিস্টধারী খেলোয়াড় হিসেবে যৌথভাবে এক নম্বরে অবস্থান করছেন মেসি। আর লিগে এ নিয়ে রেকর্ড আটবারের ব্যালন ডি’অর জয়ীর অ্যাসিস্ট এখন ২৫টি।
মেসির রেকর্ডের দিনে শেষ পর্যন্ত ০-৪ ব্যবধানের বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে মায়ামি। আর ঐতিহাসিক এই জয়ের মধ্য দিয়ে ইন্টার মিয়ামি প্রথমবারের মতো ইস্টার্ন কনফারেন্স ফাইনালে জায়গা করে নেয়।

