spot_img

মেক্সিকোতে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে সংঘর্ষ, আহত ১২০

অবশ্যই পরুন

মেক্সিকো সিটিতে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলাকালে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১২০ জন আহত হয়েছে, যাদের মধ্যে ১০০ জন পুলিশ কর্মকর্তা। রোববার (১৬ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজ এ তথ্য জানায়।

শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) হাজার হাজার বিক্ষোভকারী মেক্সিকোর রাজধানীতে পদযাত্রা করেন। মূলত, সহিংস অপরাধ এবং প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া শেইনবাউমের সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্যই রাস্তায় নামেন বিক্ষোভকারীরা।

শেইনবাউম বলেছেন, অন্যান্য শহরেও যে পদযাত্রা হয়েছে, তা তার সরকারের বিরোধী ডানপন্থী রাজনীতিবিদদের অর্থায়নে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অন্যান্য দেশের মতো এই দফায়ও সরকার বিরোধী বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিলো মেক্সিকোর জেন-জি’রা। সম্প্রতি মেয়র কার্লোস মানজোর হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা। মানজো কার্টেলদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বানও জানায় তারা।

প্রদর্শনকারীরা জাতীয় প্রাসাদের (যেখানে শেইনবাউম বাস করেন) সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। প্রাসাদ রক্ষাকারী পুলিশ ক্ষুব্ধ জনতার ওপর টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে।

মেক্সিকো সিটির নিরাপত্তা প্রধান পাবলো ভাজকেজ বলেছেন, ডাকাতি এবং হামলার মতো অপরাধের অভিযোগে ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে কর্তৃপক্ষ।

বিক্ষোভকারীরা ‘আমরা সবাই কার্লোস মানজো’ লেখা ব্যানার নিয়ে স্লোগান দিতে থাকে। অনেকেই প্রয়াত মেয়রকে সম্মান জানাতে কাউবয় হ্যাট পরেছেন।

মানজো ১ নভেম্বর ‘ডে অব দ্য ডেড’ উৎসবে অংশগ্রহণকালে গুলিবিদ্ধ হন।

তিনি তার শহরে মাদক পাচারকারী গ্যাং এবং কার্টেল সহিংসতা সম্পর্কে খোলাখুলিভাবে কথা বলার জন্য বেশ পরিচিত ছিলেন।

তিনি দেশের সশস্ত্র কার্টেল সদস্যদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা দাবি করেছিলেন।

শেইনবাউম কার্টেলদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছেন, কিন্তু ড্রাগসের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ যুদ্ধের আহ্বানকে এখনও এড়াচ্ছেন বলে দাবি বিক্ষোভকারীদের।

পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হওয়ার কয়েক দিন আগে, প্রেসিডেন্ট বলেন যে বিক্ষোভটি অনলাইনে বট ব্যবহার করে প্রচার করা হয়েছে।

তিনি ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘যদি তরুণদের দাবি থাকে, আমরা মত প্রকাশ এবং বিক্ষোভের স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, কিন্তু শেইনবাউম প্রশ্ন করেন, এই বিক্ষোভকে কে প্রচার করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘মানুষকে জানা উচিত এই বিক্ষোভ কীভাবে সংগঠিত হয়েছে, যাতে কেউ জনগণকে ব্যবহার না করে।’

শেইনবাউম এরইমধ্যে ফেন্টানিল পাচারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছেন – যা তার মার্কিন সমকক্ষ ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

কিন্তু নিজ দেশের সহিংসতা থামাতে ব্যর্থ হওয়ায় তিনি সমালোচিত হচ্ছেন এবং নিকটবর্তী দেশগুলো থেকে শত্রুতা বাড়ছে।

এই মাসের শুরুতে, পেরুর কংগ্রেস শেইনবাউমকে ‘পারসোনা নন গ্রাটা’ বা মেক্সিকোতে অগ্রহণযোগ্য ঘোষণা করেছে।

এই সিদ্ধান্ত আসে পেরু-মেক্সিকোর কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের কয়েক দিন পর, যখন মেক্সিকো সরকার ২০২২ সালের অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার অভিযোগে অভিযুক্ত একজন প্রাক্তন পেরু প্রধানমন্ত্রীকে আশ্রয় দিয়েছিল।

সর্বশেষ সংবাদ

গণফোরামসহ ৬ দলের সঙ্গে সংলাপে ইসি

নির্বাচন কমিশন (ইসি) আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সংলাপের দ্বিতীয় দিনের প্রথম পর্বে ৬টি রাজনৈতিক দলের সাথে...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ